বিশ্বজয়ী যুব ক্রিকেটাররা পাচ্ছে বীমা সুবিধা

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ১৩, ২০২০
১০:২০ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২০
১০:২০ অপরাহ্ন



বিশ্বজয়ী যুব ক্রিকেটাররা পাচ্ছে বীমা সুবিধা

ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল দেশের হয়ে প্রথম জয় করে কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করেছে। বিশ্বকাপজয়ী দলকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে অনূর্ধ্ব-২১ দল। এবার আরো একটি সুখবর পেলেন আকবর আলী ও তার সতীর্থরা। তাদের জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা করেছে বিসিবি। বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটাররা প্রথমবারের মতো বীমা সুবিধার আওতায় আসলেন। এতদিন কেবল কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটাররা বীমা সুবিধা পেয়ে এসেছেন।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘এমনও তো হতে পারত যে ওরা চ্যাম্পিয়নই হয়নি। সে ক্ষেত্রেও দলটির কারও কারও ইনস্যুরেন্সের আওতায় আসার সুযোগ থাকত। হয়তো এদের মধ্যে চার-পাঁচজন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চুক্তিতেও চলে আসতে পারত। তাহলে ইনস্যুরেন্স ওদেরও হতো। তবে হ্যাঁ, বয়সভিত্তিক দলের সবার ইনস্যুরেন্স করানোর ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম।’

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৭ ক্রিকেটারের প্রত্যেকের জীবন বীমা ৫০ লাখ টাকার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার ও আকবরদের সেটি ২৫ লাখ। ১৬ জনের বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই ক্রিকেটার নওরোজ নাবিল এবং এস এম মেহরাবের জীবন বীমা অন্যদের চেয়ে আলাদা। কারণ এই দুই ক্রিকেটারের বয়স এখনো ১৮ হয়নি। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের দুজনের ক্ষেত্রে জীবন বীমার অঙ্কটি ১০ লাখ টাকার!

স্বাস্থ্য বীমার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের মতো আকবররাও একই সুবিধা পাবেন। নাবিল-মেহরাবেরও একই। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার (ইন-পেশেন্ট) ক্ষেত্রে বার্ষিক তিন লাখ টাকার বীমা। হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে চিকিৎসার (আউট-পেশেন্ট) ক্ষেত্রে যা ৫০ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য বীমার অঙ্কটা পাঁচ লাখ (ইন-পেশেন্ট) ও এক লাখ টাকার (আউট-পেশেন্ট)। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার এবং আকবররা অবশ্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের মতো চোখ ও দাঁতের চিকিৎসা সুবিধা পাবেন না। 

এআরআর-০২/বিএ-০৩