আকরামদের স্যালুট মাশরাফিদের

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ১৪, ২০২০
০৭:০৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২০
০৭:০৭ পূর্বাহ্ন



আকরামদের স্যালুট মাশরাফিদের

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী আকরাম খানের নেতৃত্বাধীন দলকে স্যালুট জানিয়েছেন এ প্রজন্মের ক্রিকেটাররা। ১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। কেনিয়ার বিপক্ষে  শিরোপা জয়ের যুদ্ধে নামার আগে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার  যোগ্যতাও অর্জন করে টাইগাররা। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রিকেট বিশ্বে টাইগারদের যে গর্জন, তা যেন সেই দিনেরই প্রতিধ্বনি। ২৩ বছর আগে আইসিসি ট্রফি জয়ের সৈনিকদের এ প্রজন্মের ক্রিকেটাররা হিরোই মনে করেন। সফল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ ও সৌম্য সরকার স্যালুট জানিয়েছেন আকরাম খানদের।

আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, মোহাম্মদ রফিকরা বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে জোয়ার এনে দিয়েছেন তাতেই ভেসে চলেছে এগিয়ে যাওয়ার ভেলা ।

আকরাম খানের হাত বদলে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব তার ভাতিজা তামিম ইকবালের হাতে। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ বলেন, ’৯৭ সালের সেই জয় যদি না আসতো, হয়তো আজ আমি মুমিনুল হতে পারতাম না। তাদের অনুপ্রেরণায় আজ আমরা এই প্রজন্মের ক্রিকেটারা খেলছি। তারা আমাদের ক্রিকেট হিরো। আমি অন্তর থেকে  সেই হিরোদের স্যালুট জানাচ্ছি। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে তারা আমাদের ক্রিকেটে জোয়ার এনে দিয়েছে তা  কোনোভাবে ভোলার নয়। যতদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট থাকবে ততদিনই তাদের স্মরণ করতে হবে।’ 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঐতিহাসিক দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে শুভেচ্ছার বন্যা বইছে। বাদ পড়েননি বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সফল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২৩ বছর আগে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালুমপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে জয়ের পর ট্রফি হাতে নিয়ে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের উল্লাসের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে মাশরাফি লিখেছেন, 'হাজার মাইলের যাত্রা শুরু হয় একক কোন পদক্ষেপ নিয়ে'- কি বড় একটা পদক্ষেপ ছিল এটা! ১৩ এপ্রিল ১৯৯৭।

মুমিনুল মনে করেন, এখন সেই হিরোদের প্রতিদান দেয়ার সময় তাদের। তিনি বলেন, ‘২৩ বছর আগে আকরাম ভাইরা তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা  পেতেন না। এখন আমরা যা পাচ্ছি। তারা সেই কঠিন সময়ে এদেশের ক্রিকেটকে যা এনে দিয়েছেন, এখনো আমরা তাদের ঋণ শোধ করতে পারিনি। এখন আমরা অনেক কিছুই পাচ্ছি, যা তারা পাননি। আমি মনে করি, এখনই সময় তাদের সেই অবদানের প্রতিদান দেয়ার।

সৌম্য সরকার বাংলাদেশে ক্রিকেটে এই প্রজন্মের প্রতিনিধি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মনে করেন আকরাম খানদের সেই জয়ের জন্য আজ তিনি ক্রিকেট খেলতে পারছেন। তিনি বলেন, ‘২৩ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সেই দিনটি আমাদের ক্রিকেটের জন্য সেরা। তারা যদি সেদিন দেশকে এমন বড় উপহার না দিতেন, তাহলে এ দেশের ক্রিকেট আরো কতদিন পিছিয়ে থাকতো তা চিন্তা করতেই ভয় লাগে। আমি সৌম্য সরকার যে আজ খেলছি, সেটি তাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে।’ 

বাংলাদেশ দল এখন  প্রতিটি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে। টাইগারদের হালকাভাবে নেয়ার সাহস করে না কোনো ক্রিকেটীয় পরাশক্তি। টাইগার ক্রিকেটের ভিত গড়ে দেওয়া সেই আকরাম, শান্ত, পাইলট, রফিকদের স্যালুট জানিয়েছেন সৌম্য। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা বিশ্বকাপে দাপটের সঙ্গেই খেলি। কিন্তু সেদিনের যারা আমাদের জন্য প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ এনে দিয়েছিল তাদের অবদান ভোলার নয়। আমি তাদের ধন্যবাদ ও স্যালুট জানাই এমন একটি দিন উপহার দেওয়ার জন্য।’

 

 

এআরআর-১২/আরসি-১১