করোনা রোগী সেজে ৪৭৩ বার ফোন, শিক্ষার্থী আটক

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২১, ২০২০
১১:৩৫ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০২০
১১:৩৫ অপরাহ্ন



করোনা রোগী সেজে ৪৭৩ বার ফোন, শিক্ষার্থী আটক

করোনা রোগী দাবি করে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে বারবার ফোন দেওয়ার অপরাধে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। গত ১৫ দিনের মধ্যে ৪৭৩ বার জাতীয় সেবার নম্বরে ফোন দিয়ে নিজেকে করোনা রোগী দাবি করে বাঁচানোর আকুতি জানান ঐ শিক্ষার্থী। কিন্তু ঠিকানা ভুল দিতেন। তাই খুঁজে পাওয়া যেতো না তাকে। অবশেষে যখন তাকে প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করা হলো, তখন তার মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানির অভিযোগে তাকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নাটোরের এই অভিযুক্ত কিশোরের নাম সুমন মিয়া (১৪)। সে সদর উপজেলার লক্ষীপুর টলটলিয়া পাড়ার মবিনুর মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার আইও নিজাম উদ্দীন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ওই কিশোর গত ৬ এপ্রিল থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি টোল ফ্রি ৩৩৩ নম্বরে ৩১৬ বার, ১৬২৬৩ নম্বরে ৬৩ বার, ১০৬৫৫ নম্বরে ৪০ বার, ১০৯ নম্বরে ৩১ বার এবং ৯৯৯ নম্বরে ২৩ বার কল করে। এসময় সে নিজকে আব্দুল করিম এবং ঠিকানা শহরের আলাইপুর মহল্লা বলে জানায়। সে নিজেকে করোনা আক্রান্ত বলে জানায় এবং বলে: আমি করোনা আক্রান্ত। রাজশাহী মেডিক্যাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পালিয়ে এসেছি। বর্তমানে শ্বাসকষ্টে ভুগছি। জরুরি চিকিৎসা দরকার। বিষয়টি অবহিত হয়ে দ্রুত জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সে কোনও যোগাযোগ করে না। সংবাদ পেয়ে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল উদ্ধারকারী দলসহ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে সে চার বার মিথ্যা ঠিকানা প্রদান করে হয়রানি করে। অবশেষে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তার প্রদত্ত ঠিকানাগুলো মিথ্যা বলে জানা যায়।

নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের অভিযানে ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নিজ বাড়ি লক্ষীপুর টলটলিয়া পাড়া থেকে তাকে মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়।

এসপি আরও জানান, লোকজনকে হয়রানি করা ও নিজে মজা নেওয়ার হীনমানসে সে এমন মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে বলে স্বীকার করেছে।

মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ-প্রশাসনসহ দায়িত্বরত অন্যান্য সংস্থা হয়রানির শিকার হচ্ছে জানিয়ে এসপি বলেন, 'তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।'

মামলার আইও এবং সদর থানার এসআই নিজাম উদ্দীন জানান, এসআই শামসুজ্জোহা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই কিশোরকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

বিএ-০৭