সারাদেশে আরও ৪৯৭ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৭ জনের

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৮:৪৯ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৯:৩৭ অপরাহ্ন



সারাদেশে আরও ৪৯৭ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৭ জনের

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৯৭ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫,৯১৩। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে।

আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান।

অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,৮১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ৯ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মোট ১৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।

গতকাল রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিলেন ৪১৮ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ৫,৪১৬ জন। এ ছাড়া গতকাল পর্যন্ত আরও ৫ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪৫। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৯ জন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১২২ জন।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৪০১টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৪৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও সাতজন, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও নয়জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী। পাঁচজন রাজধানী ঢাকার, একজন সিলেট ও একজন রাজশাহীর বাসিন্দা। পাঁচজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১০ বছরের নিচে একজন শিশু মৃত্যুবরণ করেছে।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৮৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ২২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৭৩৮ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে নয় হাজার ৭৩৮টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি ও ঢাকার বাইরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি। বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩৪১টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২টি।

এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৪০১ জনকে। এদের মধ্যে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ এক হাজার ৭২২ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭৭ হাজার ৬৭৯ জন। তাদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারন্টাইনে আছেন ছয় হাজার ৩০৭ জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭১ হাজার ৩৭২ জন।

সারাদেশের ৬৪ জেলা এবং সেখানকার উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেবা দেয়া যাবে।

স্বাস্থ্য বুলেটিনে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তিনি প্রতিনিয়ত দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা প্রতিনিয়ত পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। এসময় তিনি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

 

এনপি-১৪