সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১২, ২০২৫
০৫:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ১২, ২০২৫
০৫:৫৭ অপরাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আফসার উদ্দিন আহমেদ মারধর ও পরে পুলিশে সোপর্দের ঘটনার পর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১১ মে) রাত ১২টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত নোটিশটি মামুন রশীদকে পাঠানো হয়।
নোটিশে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের কথা উল্লেখ করা না হলেও সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মামুন রশীদকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা পাওয়ার পর গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও সম্প্রতি আপনি এমন কিছু কার্যক্রমে জড়িয়েছেন, যা সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি দলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং তা দলীয় আদর্শ, শৃঙ্খলা ও নীতিমালার পরিপন্থী। আপনার এ ধরনের অবস্থানকে সংগঠনের বিরুদ্ধে কার্যত বিরুদ্ধাচরণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। কেন আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ১৯ মের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
এর আগে কানাইঘাটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা হেনস্থা করা হয় কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমেদকে। এক পর্যায়ে তিনি আত্মরক্ষার্থে মসজিদে ঢুকে পড়েন। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদের বাড়িতে। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রবিবার রাতে বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদ বলেন, ওই চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তার ভাই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিমের সহপাঠী। সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে খুব অত্যাচার করেছেন এলাকায়। তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মামলা রয়েছে।
এএফ/১০