সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১০, ২০২০
০১:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ১০, ২০২০
০১:৩৮ অপরাহ্ন
টানা ঘরে বসে অফিসের কাজ করতে করতে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। একে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম বার্নআউট’ (ডাব্লি্উএফএইচ) বলে। বাসা থেকে কাজ করার কারণে এই ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলার লক্ষ্যে একদিন ছুটি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে গুগল কর্মীদের।
মনোবল চাঙা রাখতে ২২ মে কর্মীদের করোনাভাইরাস মহামারিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম বার্নআউট’ সমস্যার সমাধান দিতে ছুটি ঘোষণা করেছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এদিন কর্মীরা ছুটি কাটাতে পারবেন।
গত বৃহস্পতিবার কর্মীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই ২২ মে ছুটি ঘোষণা দেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনের শুরু থেকে কার্যালয়গুলো খোলার কাজ শুরু করবে গুগল। তবে, অধিকাংশ গুগল কর্মীই এ বছরের শেষ পর্যন্ত বাসা থেকে কাজ করবেন।
গত শুক্রবার ফেসবুকও অনেকটা একই রকম সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত নিজ কর্মীদেরকে দূরে বসে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৩৯ লাখের বেশি লোককে সংক্রমিত করেছে। বেশিরভাগ দেশকে কঠোর লকডাউন করতে বাধ্য করেছে এবং ব্যবসায়ের ধরন বদলে দিয়েছে। নতুন নিয়ম হিসেবে ঘরে বসে কাজ শুরু হয়েছে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম বার্নআউট ও এর প্রতিকার
ডাব্লি্উএফএইচ বার্নআউট মূলত যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা দাতব্য সংস্থা নফিল্ড হেলথের ব্যবহৃত শব্দ যা বাড়িতে বসে কাজ করা কর্মীর ক্ষেত্রে ক্রমাগত ক্লান্তি, চাপের অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাদের কাজ এবং বিশ্রামের সময় সঠিকভাবে ভারসাম্য রাখা সম্ভব হয় না।
নফিল্ড হেলথের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ব্র্যান্ডন স্ট্রিট বলেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ মূলত বার্নআউটের মূল কারণ। তিনি যুক্তরাজ্যের দ্য মেট্রোকে বলেছেন: আমাদের প্রতিদিনি কতটুকু কাজ করতে হবে তার সীমা থাকা উচিত। না হলে ক্লান্তি চলে আসবে এবং আমরা তা সামলাতে অক্ষম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার্নআউট অবস্থাকে একটি পেশাগত ঘটনা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
বার্নআউটের লক্ষণগুলো হচ্ছে-সারাদিন ডেস্কের সামনে বসে থাকলেও কাজে উৎসাহ না পাওয়া। সারাক্ষণ ক্লান্তি বোধ করা। প্রায় সময় অসহায় বোধ করা ও মানসিক বাধা তৈরি হওয়া। সাধারণ পরিস্থিতির চেয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলা। সারাক্ষণ ই-মেইল, ডকুমেন্টসহ কাজ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খোঁজ করতে থাকা এবং আরও বেশি কাজের চাপ অনুভব করা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাজে বার্নআউটের মতো পরিস্থিতিতে পড়লে আপনার ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলুন। এ সময় নিজের যত্ন নেওয়াটা জরুরি। তা না হলে উদ্বেগ, হতাশা এবং আতঙ্ক পেয়ে বসতে পারে। অফিসের কাছে সাহায্যে চান।
নিজেকে চাঙা রাখতে কাজে কিছুটা বিশ্রাম নিন। সময় ভাগ করে রাখুন। কিছুক্ষণ কাজ করার পর পুরোপুরি বিশ্রাম নিন। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। নিজের ফোন ল্যাপটপ থেকে কিছুটা দূরে থাকুন। রান্না, মুভি দেখা বা অন্য কাজে নিজেকে যুক্ত করে বার্নআউট থেকে মুক্তি নিন।
এএফ-০৫