খেলা ডেস্ক

মে ১২, ২০২০
০৯:০৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মে ১২, ২০২০
০৯:১০ পূর্বাহ্ন

ইতালির নেপলসের সেরা সাফল্য আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে। তাঁর সুবাদেই দুটি সিরি 'আ' শিরোপা ট্রফি ক্যাবিনেটে যোগ করেছিল নাপোলি। শুধু ফুটবল মাঠের সাফল্যই ম্যারাডোনাকে দেবতা বানায়নি নেপলসবাসীর কাছে। যে আবেগ ও ভালোবাসা নিয়ে ফুটবল খেলতেন, পেশাদার মানসিকতার উর্ধে উঠে সবাইকে যেভাবে কাছে টেনে নিতে; সেটাই ম্যারাডোনাকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ১৯৮৪ সালে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে নাপোলিতে যোগ দেওয়ার পরই এমন এক কাণ্ড করেছিলেন যে, নাপোলির জার্সি চড়িয়ে কোনো ম্যাচ খেলার আগেই শহরের মানুষের চোখে দেবতা হয়ে উঠেন। বহুদিন পর প্রকাশিত এক ভিডিওর সুবাদে আলোচনায় আসে বিষয়টি।

১৯৮৪ সালের ৫ জুলাই ৭৫ হাজার সমর্থকের সামনে ম্যারডোনাকে হাজির করা হয়েছিল নাপোলির স্টাডিও সান পাওলোতে। তার কদিন পরই এক ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন ম্যারাডোনা। সে ম্যাচের কিছু খণ্ডিত অংশ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে নাচিয়ে গোলরক্ষকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ম্যারাডোনা। আগুয়ান গোলরক্ষককেও বোকা বানিয়ে জালে বল পাঠাচ্ছেন। কাদায় ভরা এক মাঠেও এমন গোলের পর মাঠের সব দর্শক ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেন তাঁকে।

নাপোলিতে যোগ দেওয়ার পর অসুস্থ এক শিশুর চিকিৎসার খরচ জোগাতে আয়োজন করা হয়েছিল একটি ম্যাচ। ম্যাচে খেলতে ২৪ বছর বয়সী ম্যারাডোনা রাজি হয়ে যান। কিন্তু বাদ সাধে তাঁর ক্লাব। মাত্রই বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে আনা এক খেলোয়াড় অপ্রস্তুত মাঠে অপেশাদার ফুটবল খেলুক, সেটা কোন চায়নি তাঁর ক্লাব। কিন্তু ম্যারাডোনার কাছে আবেগই প্রাধান্য পেয়েছিল। একটি শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য তাঁর বাড়ির পাশের মাঠেই খেলেন ম্যারাডোনা। কোনো প্রচারনা ছাড়াই চার হাজার দর্শক ম্যাচটি দেখেন।

এআরআর/৮