বিএসএমএমইউয়ে কিট ও খরচ হস্তান্তর করল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ১৩, ২০২০
১১:১৩ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১৩, ২০২০
১১:১৩ অপরাহ্ন



বিএসএমএমইউয়ে কিট ও খরচ হস্তান্তর করল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কাছে নমুনা কিট ও খরচের টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে বিএসএমএমইউয়ে গিয়ে এসব হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ বেলা ১১টার দিকে আমরা ২০০ কিট জমা দিয়েছি। খরচের জন্য ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকাও জমা দেওয়া হয়েছে। গণবিশ্ববিদ্যালয় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ও কিট উদ্ভাবক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ভাইস প্রিন্সিপাল ও কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার গিয়ে বিএসএমএমইউর একটি বিভাগের প্রধান সাইফুল্লাহ মুন্সির কাছে হস্তান্তর করেছেন।’ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে থেকেই তাদের কার্যক্রম শুরু করার কথা। আশা করি, এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হতে পারে।’ 

২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে করোনা টেস্টের কিট হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে ওষুধ প্রশাসনের কাছে কিটের ট্রায়াল চালানোর অনুমতির জন্য দেন-দরবার করে আসছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ শুরু করে। গণস্বাস্থ্য অভিযোগ তোলে ওষুধ প্রশাসন কিটের ট্রায়ালের বিষয়ে সহায়তা করছে না। 

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এর আগে ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরে ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। 

এনপি-০৯