রাস্তায় চলাচলে চালু হচ্ছে বিশেষ পাস

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২১, ২০২০
০৬:৩৯ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২১, ২০২০
০৬:৪২ অপরাহ্ন



রাস্তায় চলাচলে চালু হচ্ছে বিশেষ পাস

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না অযথা ঘোরাঘুরি। এতে ভাইরাসটির বিস্তার আরও মারাত্মক আকার নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় রাস্তায় চলাচলে বিশেষ ‘পাস’ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন তাদের এই ‘মুভমেন্ট পাস’ দেওয়া হবে। এই পাসধারী ব্যক্তি নির্বিঘ্নে সড়কে চলাচল করতে পারবেন। তবে সবাই এই পাস পাচ্ছেন না। কেবল জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হবে এই পাস।

পুলিশ সদরদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, সদরদপ্তরের আইসিটি উইংয়ের সমন্বয়ে শুরু হতে যাচ্ছে এই কার্যক্রম। জরুরি পণ্য পরিবহন, সেবাদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হবে এই পাস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ঔষধপত্র, চিকিৎসা, চাকরি, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি/খুচরা ক্রয় পর্যটন, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার, ব্যবসা ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে এই পাস। যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু তারা কোনো ক্যাটাগরিতেই পড়েন না, তাদের ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে পাস দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

পাস সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে (https://movementpass.police.gov.bd) গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র, স্টুডেন্ট আইডি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে। সড়কে কোথাও চলাচলের কারণে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে এই পাস দেখালেই তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে যেতে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, জরুরি পণ্য-সেবা প্রদানের কাজে বাইরে বের হওয়াদের চলাচলকে বাধামুক্ত করার জন্য শিগগির এই পাস দেওয়া হবে। এই পাসের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা আবেদন যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত মনে হলে পাস দেবেন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭৩৮ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৮৬ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন পাঁচ হাজার ২০৭ জন।

এনপি-০৬