মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর
জুন ০১, ২০২০
০৫:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০১, ২০২০
০৫:৫৪ অপরাহ্ন
সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে গণপরিবহন চালু হলেও তেমন কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি মহাসড়কটিতে। নামমাত্র কয়েকটি যাত্রীবাহী গাড়ি সিলেট থেকে ছেড়ে আসতে দেখা গেলেও জাফলং থেকে এখন পর্যন্ত সিলেটের উদ্দেশে কোনো যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। এই সুযোগে ইমা, লেগুনা, সুজুকি ও হিউম্যান হলারগুলো সরকার ঘোষিত নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামাফিক পূর্বের ন্যায় ১৪ জন বা এর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে।
সলিম উদ্দিন নামের এক যাত্রী জানান, তিনি সিলেট নগরের ধোপাদিঘির পাড় থেকে লেগুনায় করে জৈন্তাপুরে এসেছেন। যাত্রী বেশি উঠানোর কারণে তাকে বাধ্য হয়ে গাদাগাদি করে বসে আসতে হয়েছে। গাড়ির চালক ও সহকারী নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে পূর্বের ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন ভাড়া আদায় করেছে এবং গাদাগাদি করে যাত্রী উঠিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না পরিবহনের চালক ও সহকারীরা। রাস্তায় নজরদারির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো চেকপোস্টের দেখাও মিলেনি। এই সুযোগে একশ্রেণির অর্থলোভী চালকরা লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন ইমা, লেগুনা, সুজুকি, হিউম্যান হলার এবং নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশার মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করছেন। এছাড়া গাড়ির চালক ও হেলপাররা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নির্দেশনা। তাদের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস আর গাড়ির সিটগুলো রয়েছে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায়।
এদিকে আবার সিলেটের পর্যটন এলাকাখ্যাত জৈন্তাপুর উপজেলায় দ্রুত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় গাড়ির চালক, সহকারী ও যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে জৈন্তাপুরে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক সিলেট মিররকে বলেন, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে আমাদের চেকপোস্ট রয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে-মধ্যে যাত্রী পরিবহন করছে। এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে।
আরকে/আরআর-০৬