ডা. মঈনের পরিবার পাচ্ছে সরকারের প্রথম ক্ষতিপূরণের টাকা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ০৪, ২০২০
০৯:৫৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৪, ২০২০
১০:০৮ অপরাহ্ন



ডা. মঈনের পরিবার পাচ্ছে সরকারের প্রথম ক্ষতিপূরণের টাকা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দেশের প্রথম চিকিৎসক মঈন উদ্দীনের পরিবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকা পাচ্ছে। এর আগে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন করা হয়।

জানা গেছে গত ২৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করেন মঈন উদ্দীনের স্ত্রী চৌধুরী রিফাত জাহান।

গতকাল বুধবার (০৩ জুন) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিভাগ আবেদন অনুযায়ী টাকা ছাড়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আগামী সপ্তাহে এ অর্থ ছাড় করবে বলেও জানা গেছে। দ্রুতগতিতে কাজ হলেও আবেদন শুরুর দিন থেকে প্রক্রিয়াই চলে গেছে ৩৬ দিন।

গত ১৫ এপ্রিল সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মঈন উদ্দীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে চৌধুরী রিফাত জাহানের আবেদনপত্রে সুপারিশ করেন এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মো. মইনুল হক।

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি চাকরিজীবী যাঁরা নিজেরা আক্রান্ত হবেন বা মারা যাবেন, তাঁদের জন্য গ্রেড অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার একটি পরিপত্র করেছে। এর পরিমাণ ৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। মঈন উদ্দীনের গ্রেড অনুযায়ী (পঞ্চম গ্রেড) তাঁর পরিবার ৫০ লাখ টাকা পাবেন। করোনায় মারা যাওয়া সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে ডা. মঈনের পরিবারই প্রথম ক্ষতিপূরণ পেতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, আমারা জানা মতে করোনায় মারা যাওয়া সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে ডা. মঈনের পরিবারই প্রথম ক্ষতিপূরণ পেতে যাচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তাঁদের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটেও একই উদ্দেশে রাখা হচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। 

গত ৫ এপ্রিল চিকিৎসক মঈন উদ্দীনের করোনা পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি ঘটলে ৭ এপ্রিল তাঁকে সিলেট নগরের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখান থেকে পরবর্তী সময়ে পরিবারের সিদ্বান্ত অনুযায়ী তাঁকে ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।

বেএ-২৭