সিলেটের বেসরকারি হাসপাতালগুলো আর কোনো রোগীকেই ফেরাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৯, ২০২০
০২:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৯, ২০২০
০৩:০২ পূর্বাহ্ন



সিলেটের বেসরকারি হাসপাতালগুলো আর কোনো রোগীকেই ফেরাবে না

এখন থেকে আর কোনো রোগীকে সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা ছাড়া ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সোমবার দুপুরে নগরের দরগাহ গেইট এলাকায় সিলেট প্রাইভেট হসপিটাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন মালিকরা।

গত সপ্তাহে সিলেটে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে আসে। এনিয়ে সমালোচনার মুখে সোমবার (৮ জুন) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মালিকদের এ সংগঠন। সংবাদ সম্মেলনে তিনজন রোগির অনাকাঙ্খিত মৃত্যুতে নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকার্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আজিজুর রহমান রোমান, কোষাধ্যক্ষ জাকির আহমদ চৌধুরী ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ সিলেটের কোভিট-১৯ চিকিৎসা টীমের আহবায়ক ডা. মুজিবুল হক। 

ডা. নাসিম বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য আমাদের বেসরকারি হাসপাতালের অবকাঠামো প্রস্তুত নয়। প্রতিটি হাসপাতালের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ একটি। ফলে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিলে অন্য রোগীরাও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরই নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সম্পূর্ণভাবে করোনা চিকিৎসার জন্য নিবেদিত করার প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু এ প্রস্তাব এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেনি। যদিও ঢাকার অনেকগুলো ও চট্টগ্রামের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি ব্যবস্থায় করোনার চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু সিলেটে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ডা. নাসিম বলেন, এ অবস্থায় রবিবার অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি সভায় মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল ও নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনার চিকিৎসা করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এই দুটি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো হাসপাতালে রোগী গেলে তাদের আইসোলেশনে রেখে অক্সিজেন প্রদান করে রোগীর পছন্দমতো করোনা চিকিৎসার হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে তাকে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, অবকাঠামো ও জনবল সঙ্কট থাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এই সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় ক্ষেপণ হয়েছে। এছাড়া আমরা আশা করেছিলাম, সরকার আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে দু’একটি বেসরকারি হাসপাতালকে সম্পূর্ণভাবে করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করবে।

সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের প্রণোদনা ও সুরক্ষাসামগ্রী প্রদানের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধও জানানো হয়।

বিএ-২১