বিয়ানীবাজারে শিশু হত্যার দায় স্বীকার চাচির, প্রেমিক ৪ দিনের রিমান্ডে

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


জুন ০৯, ২০২০
০৯:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৯, ২০২০
০৯:৪৫ অপরাহ্ন



বিয়ানীবাজারে শিশু হত্যার দায় স্বীকার চাচির, প্রেমিক ৪ দিনের রিমান্ডে

পরকীয়ার জেরে বিয়ানীবাজারে আড়াই বছরের শিশু সায়েল আহমদকে হত্যা করেন তারই চাচি সুরমা বেগম।

সোমবার (০৮ মে) বিকেলে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সুরমা বেগম। এছাড়া সুরমার কথিত প্রেমিকা অপর আসামি নাহিদুল ইসলাম ইব্রাহিমকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতের বিচারক নওরীন করিম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

আদালতে সুরমা বেগমের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, প্রেমিক ইব্রাহীমের সঙ্গে সুরমা বেগমের অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সময় শিশু সায়েল দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বসতঘরের গোসল খানায় ড্রামে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় শিশু সায়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরমা বেগম হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং অপর আসামি ইব্রাহীমকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (০৭ জুন) সন্ধ্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজনা গ্রামে শিশু সায়েলের চাচির বাথরুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘাতক সুরমা বেগম নিহতের চাচা রুনুর স্ত্রী ও নাহিদুল ইসলাম ইব্রাহিম উপজেলার চারখাই গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, রবিবার (৭ জুন) সকালে শিশু সায়েল আহমদ তার চাচার বসতঘরের পাশে আম গাছের নিচে পড়ে থাকা আম কুঁড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন দিনব্যাপী খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গ্রামের মসজিদের মাইকে মাইকিং করেন।

এক পর্যায়ে বিষয়টি বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের তত্ত্বাবধানে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে সুরমা বেগমের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে জানতে পেরে শিশু সায়েলের মরদেহ চাচি সুরমা বেগম ঘরের বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সায়েলের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নাহিদুল উপজেলার চারখাই মধুরচক এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে হলেও তিনি উত্তর আকাখাজনায় তার মামার বাড়িতে থাকে। তার মামার বাড়িতে তার বিরুদ্ধে অনেক অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছ এবং সে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম নিয়ন্ত্রিত পল্লব গ্রুপের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।িএসএ/বিএ-১০