জৈন্তাপুরে বাড়ছে করোনা রোগী, নেই সতর্কতা

মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর


জুন ১০, ২০২০
০৬:০৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১০, ২০২০
০৬:৪৪ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে বাড়ছে করোনা রোগী, নেই সতর্কতা

সিলেটের জৈন্তাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে ভোগান্তি বাড়ছে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে। ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না নমুনা পরীক্ষার ফলাফল। আক্রান্তরা বাজারে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন সচেতন মানুষেরা। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে গত ৯ জুন পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, ২ জন সুস্থ হয়েছেন আর বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে গত ২ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ৬২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করলেও তাদের ফলাফল এখন পর্যন্ত আসেনি। এছাড়া আজ বুধবার (১০ জুন) আরও ২৩টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সচেতন মহল ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের সকল প্রকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রত্যেক ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাসাধারণকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার নির্দেশনা জারি করেন তারা। ইত্যেমধ্যে উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে অসচেতনরা বিনা কারণে বাজারে ঘোরাফেরা করছেন। অনেকেই দাবি করছেন তারা সুস্থ। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষায় সুস্থতার সনদ না পেয়ে তাদের এমন ঘোরাফেরার কারণে সচেতন মহল অনেকটা আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অনেকের নমুনা প্রেরণ করা হলেও তাদের ফলাফল এখনও আসেনি। যারা নমুনা দিয়েছেন, তারাও বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এ কারণে উপজেলার সদর এলাকায় করোনাভাইরাস নিরবে বিস্তার করছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সচেতন মহল মনে করেন, ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সঠিকভাবে আইসোলেশনে রাখার জন্য প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করবে। প্রেরিত নমুনাসমূহ দ্রুত পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

আরকে/আরআর-১৫