শাবি প্রতিনিধি
জুন ১২, ২০২০
০৩:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১২, ২০২০
০৩:৪৯ অপরাহ্ন
গত বুধবার (১০ জুন) মেস ভাড়া মওকুফ প্রসঙ্গ নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
আজ শুক্রবার (১২ জুন) সকালে সংগঠনটির সহ-সভাপতি তৌহিদুজ্জামান জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিয়া এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সময় কোভিড-১৯ এর কারণে সারা বিশ্বে এক বিশেষ পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ভাইরাসের ফলে অর্থনীতির পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাধ্য হয়েই মেসে থাকেন। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা টিউশনি করিয়ে তাদের নিজেদের খরচ যোগায়। তিনমাস যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে গেলেও মেস মালিকেরা তাদের ভাড়াটেদের ভাড়া দেওয়ার জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করছে। মেস ভাড়া মওকুফের জন্য শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে দাবি জানাচ্ছে। অনলাইন আন্দোলন করছে। তারই প্রেক্ষিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফ করতে সক্ষম হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মেস ভাড়া মওকুফ করার দাবি করায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এক অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, 'তোমরা এতো মিসকিন, নিজেদের আত্মমর্যাদা পর্যন্ত নেই। আমি কি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম যে দরিদ্রদের ভর্তি করা হয়! এটা কি দরিদ্রদের এতিমখানা, মাদরাসা? বিড়ি-সিগারেট, রিকশা ভাড়া, বান্ধবীরে আইসক্রিম খাওয়ানো লাগছে না। এসব টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না কেন?'
জবি উপাচার্যের এমন অপ্রীতিকর, নিম্নরুচির মন্তব্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধারণারই পরিপন্থী। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তির এ রকম দায়হীন বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে দাবি করছি যে উক্ত ভিসি যেন তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। পাশাপাশি শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষার্থীদের যেন মেস ভাড়া মওকুফ করে তার জন্য যেন প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এনএইচ/আরআর-০৪