জৈন্তাপুরে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর


জুন ১২, ২০২০
০৫:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১২, ২০২০
০৫:০৩ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

লিখিত অভিযোগের কপি

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তা পূর্বরাজ মহবুবুল আম্বিয়া চৌধুরী মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ এবং এমপিও আবেদনে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ উত্থাপন করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  

জানা যায়, এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে জৈন্তা পূর্বরাজ লালাখাল হাইস্কুল নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জৈন্তা পূর্বরাজ মহবুবুল আম্বিয়া চৌধুরী মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অভিযোগকারী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ গত ১১ জুন বাদী হয়ে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেটের বরাবরে জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগসহ এমপিওভুক্তিতে শিক্ষকদের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর দৈনিক জালালাবাদ এবং দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করেন। প্রকৃতপক্ষে ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বরের দৈনিক জালালাবাদ এবং দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার মূল কপিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের কোনো বিজ্ঞাপন ছাপা হয়নি বরং জালিয়াতির মাধ্যমে পত্রিকার বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভ করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদনে তিনি ২০০৩ সালের ২০ ডিসেম্বর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগের কাগজপত্র দাখিল করেন। অথচ প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিয়াম কুদরত উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন, যার তথ্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যমান রয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, বিদ্যালয়ের নিয়োগে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র ফুটে ওঠার পরও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস তথ্য যাচাই-বাছাই না করে এমপিও'র জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে সুপারিশ করে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ নিয়মিত শিক্ষক ও অফিস সহকারী পদে মোট ৬ জন আবেদন করেন। দুই শিক্ষকসহ ১ জন অফিস সহকারীর কাগজপত্রে ত্রুটি দেখিয়ে ফাইল ফেরত পাঠালে বিষয়টি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র আলোচনা-সমলোচনার ঝড় বইছে। 

এ বিষয়ে একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুলাইমান হোসাইন বলেন, পত্রিকায় ছাপানো বিজ্ঞাপনটি যে নকল তা স্ক্যানিং কপিতে বোঝার কথা নয়। যদি মূল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন না থাকে, তাহলে এমপিও'র আবেদন বাতিল বলে গণ্য করা হবে। তারপরও বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানায় আমরা খতিয়ে দেখছি।

 

আরকে/আরআর-০৮