সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ২৭, ২০২০
০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২৭, ২০২০
০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
করোনা লকডাউনে ভারতের কলকাতায় কাজ হারিয়ে সপরিবারে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যা করতে যাওয়ার আগে এক নিকট আত্মীয়কে ফোন করেন ওই পরিবারের ছোট ছেলে। ফোনেই তিনি জানান, 'আমরা সবাই আত্মহত্যা করছি।' এরপরই সেই আত্মীয় পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার সোনালি পার্ক আবাসিকে।
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার সোনালি পার্ক আবাসনে ২ ছেলেকে নিয়ে থাকেন প্রণতি সিং সোহেল। ১২ বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকে বড় ছেলে দেবেন্দ্র সিং সোহেল (৪৫) ও ছোট ছেলে অতীন্দ্র সিং সোহেল (৪০)-কে নিয়ে ওই বাড়িতেই আছেন ৬০ বছরের বৃদ্ধা প্রণতি সিং সোহেল। ছোট ছেলে অতীন্দ্র আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তার নিজেরও বাঁ পায়ের হাড় ভাঙা। বহু বছর ধরে সেইভাবেই আছেন তিনি। তাই নিয়েই কাজ করে সংসার চালাতেন। বাঁশদ্রোণী বাজারে সিটি গোল্ডের চুরি, হার ইত্যাদি ফেরি করতেন। তা থেকে যা আয় হত, তাই দিয়েই কোনোমতে সংসার চালাচ্ছিলেন প্রণতি দেবী।
কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। সংসারে টানাটানি দেখা দেয়। অর্থকষ্ট চরমে ওঠে। এরপরই আজ শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রিজেন্ট এস্টেটের বাসিন্দা দূর সম্পর্কের এক দাদাকে ফোন করেন ছোট ছেলে অতীন্দ্র। ফোনেই তিনি জানান, 'আমরা সবাই আত্মহত্যা করছি।' ভাইয়ের কাছ থেকে এরকম ফোন পেয়েই পুলিশ নিয়ে আবাসনে ছুটে আসেন ওই আত্মীয়।
পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায়, দুই ছেলে বাইরের ঘরের মাটিতে পড়ে আছে। আর মা প্রণতি সিং সোহেল শোয়ার ঘরে পড়ে আছেন। সকলের মুখ থেকেই গ্যাঁজলা বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাম্প করে পেট থেকে বিষ বের করেন চিকিৎসকরা।
সূত্র- জি নিউজ।
এনপি-১১