সিলেট সীমান্তে তিনমাসে চার বাংলাদেশি খুন

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০৫, ২০২০
০১:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৫, ২০২০
০৮:২২ অপরাহ্ন



সিলেট সীমান্তে তিনমাসে চার বাংলাদেশি খুন
সীমান্ত হত্যা বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে বিজিবি: কর্নেল জামিল

সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়া নাগরিক ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিনমাসে চার বাংলাদেশি নিহত ও আট বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ ৪৮ বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক  লে. কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল পিএসসি আজ রবিবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক কর্তৃক ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশজনিত কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে সমন্বিত বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বিজিবি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৩ মে থেকে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর সীমান্তে গরু ও সুপারি চোরাচালান, আনারস, কাঁঠাল চুরি ইত্যাদি কারণে সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে যাতায়াতের মাত্রা বেড়েছে। বিগত তিন মাসে এ ধরনের অবৈধ ও সীমান্ত অপরাধের ফলে ভারতীয় খাসিয়া নাগরিক ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে উল্লিখিত সীমান্তবর্তী এলাকার চারজন ব্যক্তি নিহত ও আট বাংলাদেশী নাগরিক আহত হয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করতে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযানিক দায়িত্ব তথা জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড এবং টহল জোরদারসহ নিম্নোক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।
১) সংশ্লিষ্ট সকলকে অর্থাৎ স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদেরকে সম্পৃক্ত করে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ।
২) অনাকাঙ্ক্ষিত সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে প্রতিপক্ষ বিএসএফ বরাবরে এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যাকারী/অপরাধী ভারতীয় খাসিয়া নাগরিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে তাগাদা প্রদান ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
৩) সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ ও নিরুৎসাহিত করতে সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে স্হানীয় প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি সহ এনজিও সমূহকে সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ আরে জোরদার করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা ও অর্থনৈতিক  কর্মকাণ্ড হ্রাসের ফলে সীমান্ত এলাকার জনসাধারণ কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষতঃ করোনা পরিস্থিতিতে তাদের জীবন জীবিকা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে প্রতীয়মান। এই উপলব্ধি বিবেচনায় নিয়ে সীমান্তবর্তী জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রাখা অতীব জরুরি বলে মনে করে বিজিবি।
এনপি-০২