নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ০৮, ২০২০
০১:৪২ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ০৮, ২০২০
০১:৪২ অপরাহ্ন
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োজিত ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের চাকরি বহালসহ চার দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ জুলাই) সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই অনশন কর্মসূচি পালন করেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা।
অনশন কর্মসূচিতে চম্পক দাসের সভাপতিত্বে ও শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিলেট জেলা সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা ও বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের আহবায়ক মোখলেছুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ, ছাত্র ফ্রন্ট নগর সভাপতি সঞ্জয় কান্তি দাস।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফারজানা ইসলাম, সুজন মিয়া, সুমন দাস, ওয়াসিম খান, মাসকুদা আক্তার, উষা রানী দাশ প্রমুখ।
অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘ ২০১৮ সালে কৃষ্ণা সিকিউরিটির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৮২ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তারা যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বর্তমান মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) আইসোলেশন সেন্টারসহ (সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল) ওসমানী মেডিকেলের হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর বিভাগ ও অফিসে এই দুর্যোগময় পরিস্থিতির সময়ও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের কয়েকজন কোভিড-১৯ এ আক্রান্তও হয়েছেন। কিন্তু গত ১ জুলাই থেকে ওই ৮২ জনকে ডিউটিতে না যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘হাসপাতালের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কতিপয় সিকিউরিটি কোম্পানির কাছ থেকে অবৈধভাবে অধিক মুনাফা লাভের আশায় নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জরুরিভাবে জনবল নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে।’
অবিলম্বে তাদের চাকরিতে বহাল না করলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিবেন। তাদের অনশন কর্মসূচি আগামীকাল বৃহস্পতিবারও চলবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা
তাদের ৪ দফা দাবির মধ্যে আছে, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োজিত ৮২ জন কর্মচারীদের চাকরি বহাল রাখা, চাকরি রাজস্বখাতে স্থায়ীকরণ ও জাতীয়করণ করা, করোনায় ঝুঁকি ভাতা প্রদান করা এবং করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা।
এনএইচ/এএফ-০৩