গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
জুলাই ১১, ২০২০
০২:০১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১১, ২০২০
০৯:২৯ অপরাহ্ন
গত কয়েকদিন থেকে হওয়া ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলায় তৃতীয় দফায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের বসতবাড়িসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কের উপর দিয়ে কোথাও কোথাও দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে সারী-গোয়াইনঘাট ও রাধানগর-গোয়াইনঘাট এবং সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
একই সঙ্গে ডাউকি নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তীরবর্তী এলাকার কয়েক জায়গায় ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে উপজেলার সারী ও ডাউকি নদীর পানি।
জানা গেছে, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) থেকে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে থাকে। সারী, গোয়াইন, ডাউকি ও পিয়াইন নদী দিয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলা সদরের প্রধান ৩টি সড়কসহ তলিয়ে যায় গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে সহস্রাধিক পরিবার। বসতবাড়ি প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি কৃষকের আউশ ধান, বোনা আমন, আমন ধানের বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতসহ প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে ফসলি জমি নিমজ্জিত হওয়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দেওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে আউশ ধান, বোনা আমন ও আমন ধানের বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতসহ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮শ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, 'ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ডাউকি, গোয়াইন এবং সারী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবক'টি ইউনিয়নের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। বন্যায় জনগণের দুর্ভোগ লাগবে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পানিবন্দি মানুষজনের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।'
এমএম/আরআর-০৯