আইনি লড়াই করতে ব্রিটেন ফিরতে পারবেন শামীমা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ১৬, ২০২০
১০:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২০
১০:১২ অপরাহ্ন



আইনি লড়াই করতে ব্রিটেন ফিরতে পারবেন শামীমা
-আপিল কোর্টের রায়

নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে হোম অফিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই চালিয়ে যেতে ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন শামীমা বেগম।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) লন্ডনের কোর্ট অব আপিল বা আপিল আদালত এই রায় দিয়ে আরও বলেছেন, সিরিয়ায় শরণার্থী শিবির থেকে নিজের মামলা লড়তে পারবেন না শামীমা। যার ফলে তিনি ন্যায্য শুনানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিজের নাগরিকত্ব রক্ষা করতে আদালতে হোম অফিসের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে তিনি ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন।

আপিল আদালতের রায় মানে হচ্ছে, ব্রিটিশ সরকারকে এখন শামীমাকে সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে লন্ডনের আদালতে হাজির করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সরকার ইতিপূর্বে একাধিকবার তাকে সিরিয়া থেকে দেশে আনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

শামীমার আইনজীবী ড্যানিয়েল ফার্নার আদালতের রায় নিয়ে বলেন, শামীমা কখনোই নিজের পক্ষের বক্তব্য জানানোর ন্যায্য সুযোগ পাননি। তিনি ব্রিটিশ বিচারকে ভয় পান না, স্বাগত জানান। কিন্তু তাকে নিজের অবস্থান পরিষ্কারের সুযোগ না দিয়ে তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে দেওয়া ন্যায় বিচার নয়, বরং এটা এর বিপরীত।

শামীমার যুক্তি, তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার অবৈধ কারণ, এতে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্ব থাকে, তবেই কোনও দেশ তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নিতে পারে। গত মাসে আপিল আদালতে এক শুনানিতে শামীমার আইনজীবী যুক্তি প্রদর্শন করেন, সিরিয়া থেকে তিনি কার্যকরভাবে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারছেন না, কিন্তু তাকে দেশেও ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না।

২০১৫ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে যোগ দিতে লন্ডন থেকে সিরিয়া যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই বৃটিশ তরুণী। ২০১৯ সালে সিরিয়ায় একটি শরণার্থী শিবিরে তার সন্ধান পাওয়া যায়। সে সময় শামীমা তৃতীয় সন্তান নিয়ে গর্ভবতী ছিলেন। আগের দুই সন্তান শরণার্থী শিবিরে জন্মের পর মারা যাওয়ায় তৃতীয় সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে তিনি স্বদেশ ব্রিটেনে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন। তখন তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তৎকালিন বৃটিশ হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ। এর ভেতরে অবশ্য শামীমা বেগমের তৃতীয় সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরন করে।

 

এএফ/০৩