নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৬, ২০২০
০৪:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২০
০৪:৩৪ অপরাহ্ন
সিলেট সিটি করপোরেশন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির কাজের অগ্রগতি বিবেচনায় দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম হয়েছে। আর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের ২৪ টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে সিসিক।
রবিবার সকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই ঘোষনা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে, মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নের এই ফলাফল ঘোষনা দেন।
এতে সিসিক সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করে। আর মন্ত্রনালয়ের ২৪টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে পর্যটন নগর খ্যাত সিলেট সিটি করপোরেশন।
ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থেকে যুক্ত থেকে সিসিকের পক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. রুহুল আলম ও সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জয়দেব বিশ্বাস।
সিলেট সিটি করপোরেশনের এমন সাফল্য নগরবাসির প্রতি উৎসর্গ করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিসিকের তুলনামূলক অগ্রগতি ও উন্নয়ন নগরবাসীর সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। নাগরিকদের সার্বিক সহযোগিতায় ও সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পুরস্কার হিসাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় এ স্বীকৃতি দিয়েছেন।
সিসিক মেয়র বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় এবং মন্ত্রনালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সিলেট সিটি করপোরেশন ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়নে লক্ষমাত্রা অর্জন করে। সিসিকের উন্নয়ন ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধরী বলেন, সিসিকের এই উন্নয়ন সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিরলসভাবে কাজ করছেন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২০-২০২১ সালের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করা হয়েছে। মন্ত্রনালয়ের দিক নিদের্শনায় এ চুক্তির বাস্তবায়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের মতো সিসিক সফল হবে বলেই প্রত্যাশা করেন তিনি।
ই-নথি কার্যক্রমে সিলেট সিটি করপোরেশন একাধিকবার প্রথম স্থানে থাকলেও দেশের সবকটি সিটি করপোরেশনের মধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সিসিকের নিজস্ব ল্যাবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়মিতভাবেই ই-নথি সংক্রন্ত প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।