কবির আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ
জুলাই ২৮, ২০২০
০১:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২০
০১:৪৯ অপরাহ্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ধলাই সেতুর নিচ থেকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফের বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এ কারণে আবারও হুমকির মুখে পড়েছে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম এ সেতুটি। এর ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে উপজেলার উত্তর রণিখাই, পূর্ব ইসলামপুর ও পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের জনসাধারণের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে উদ্বিগ্ন ধলাই নদীর পূর্ব তীরের প্রায় ৩০ সহস্রাধিক মানুষ।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ২/৩ দিন ধরে ধলাই সেতুর পিলার ঘেঁষে লিস্টার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধলাই সেতুর দুইপাশে নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে সব ধরণের বালু-পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাল নিশানা স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানা হচ্ছে না এ নিষেধাজ্ঞা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধলাই সেতুর কোল ঘেঁষে ৪/৫টি ভলগেট নৌকায় লিস্টার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ফের হুমকিতে পড়েছে সেতুটি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য বলেন, 'প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়ার পরও একটি চক্র সেতু ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছে বলে জানতে পেরে গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধলাই সেতু ও নদী এলাকায় টাস্কফোর্সের অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ ৭ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।'
প্রসঙ্গত, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশের ধলাই নদের উভয়তীরের মানুষের যাতায়াতের জন্য ২০০৩ সালে ধলাই সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় ৪৩৪ দশমিক ৩৫ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতু। টানা তিন বছর কাজ চলার পর সেতুটি ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেতুর স্থায়ীত্ব ধরা হয় ৭৫ বছর। ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সেতুর উদ্বোধন করেন। সেতু নির্মিত হওয়ায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ও উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের ৪০ সহস্রাধিক মানুষ সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় আসেন। পাশাপাশি দেশের সর্ববৃহৎ ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর পরিবহন সহজতর হয়।
কেএ/আরআর-১০