টাকার জন্য আইসিএল খেলেননি বাশার-অলকরা

খেলা ডেস্ক


জুলাই ৩১, ২০২০
০১:৪৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২০
০১:৫৬ পূর্বাহ্ন



টাকার জন্য আইসিএল খেলেননি বাশার-অলকরা
এক যুগ পর ঘটনার ব্যাখ্যা দিলেন শাহরিয়ার নাফিস

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আকস্মিক ঝড়ে এলোমেলো হয়ে পড়েছিল ২০০৮ সালে। ওই বছরের অক্টোবরে জাতীয় দলের হাবিুল বাশার সুমন, অলক কাপালী, শাহরিয়ার নাফীসসহ একঝাঁক ক্রিকেটার আইসিএল খেলতে ভারতে যান। টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়া ক্রিকেটাররা নিষিদ্ধ হন দশ বছরের জন্য। এক যুগ পর আইসিএলে গিয়ে খেলা প্রসঙ্গের ব্যাখ্যা দিলেন ঢাকা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলতে যাওয়া শাহরিয়ার নাফীস।
শাহরিয়ার তাঁর ফেসবুক পেজে তিন পর্বের ধারাবাহিকে বর্ণনা করেছেন বিষয়টির। বলেছেন শুধু টাকার জন্য তারা আইসিএলে খেলতে যাননি। যদিও অনেকের ধারনা ছিল টাকার জন্যই বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা আইসিএলে খেলতে যান। এই ধারণার সঙ্গে একমত নন
শাহরিয়ার। তিনি বলেন, 'আমি আইসিএলের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিবদ্ধ ছিলাম। শুধুমাত্র টাকার জন্য যদি আইসিএল খেলতে যেতাম, তাহলে চুক্তিটা বাতিল করতাম না। আইসিএল কর্তৃপক্ষকে বলতাম, চুক্তি চালিয়ে যাব না, আমাকে টাকা দিয়ে দিন। এখানে তারা গড়িমসি করলে ভারতের আদালতে মামলা করা দেওয়া যেত। শুধু টাকা আয় করতে আইসিএলে খেলতে যাইনি।'
কেন আইসিএলে খেলতে যান সেই ব্যাখ্যা দিয়ে শাহরিয়ার লিখেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্থ ছিলাম, ভালো জায়গায় খেলতে চেয়েছিলাম যেন সেখানে ভালো পারফর্ম করতে পারি। মাত্র দেড় মাস খেলেছিলাম। দেড় মাসের চুক্তি অনুযায়ী যে টাকা পাওয়ার কথা সেটাই পেয়েছি। যেটি মোট চুক্তির ৫ শতাংশও নয়। টাকার লোভ থাকলে চুক্তি ধরে রাখতাম, ফিরে আসার জন্য বিসিবির কাছে আবেদন করতাম না।'
ঢাকা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ২০০৮ সালে আইসিএলের পুরো পর্ব খেলেছিলেন অলক-শাহরিয়াররা। আরেকটির অর্ধেক খেলতেই মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হামলায় থেমে যায় টুর্নামেন্টটি। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া খেলোয়াড়েরা তখন সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফেরার। ঢাকা ওয়ারিয়র্সের খেলোয়াড়েরা আবেদন করেন বিসিবির কাছে। দেশে ফেরা নিয়ে শাহরিয়ার ব্যাখ্যা করেন এভাবে, 'বিসিবির সঙ্গে কীভাবে দূরত্ব ঘোচানো যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে কীভাবে ফেরা যায়। ১০ বছরের যে নিষেধাজ্ঞা আছে, সেটা কীভাবে প্রত্যাহার করা যায়। আমরা সমঝোতার চেষ্টা করি। বিসিবি থেকে জানানো হয় আইসিএলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রমাণপত্র দিতে। আমরা সবাই সেটা দিই।'
দশ বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আইসিএল থেকে ফেরার পর ৬ মাস দেশের কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি ভারত ফেরত ক্রিকেটাররা। পরে সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেন। কেউ খেলেছেন জাতীয় দলেও। বাঁহাতি ওপেনার মনে করেন না আইসিএল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, '২০০৭ সালের শেষ থেকে ২০০৮—খুব কঠিন সময় পার করেছি। সেই ক্ষোভ–দুঃখ থেকেই আইসিএলে যাওয়া। আইসিএল থেকে আসার পর দেশের মাঠে বিশ্বকাপ খেলেছি। আইসিএলের কারণে যে জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে প্রভাব পড়েছে, তা মনে করি না। হ্যাঁ, ২০১৩ সালের পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেও জাতীয় দলে সুযোগ পাইনি, এটা নিয়ে হতাশা আছে।'
এএন/০৯