সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ১৫, ২০২০
০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১৫, ২০২০
০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এসেছে বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে মুনীরা বশীর।
শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, আজ দুপুরে বাবার নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল, বিকালে রিপোর্ট পেয়েছি, পজিটিভ এসেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে আমরা এখন প্লাজমার সন্ধান করছি।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এমআইসিইউ) ভর্তি আছেন মুর্তজা বশীর।
তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়ে মুনীরা বলেন, বাবা মানসিকভাবে এখনও দৃঢ় আছেন। কথাবার্তাও বলছেন। বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাইছি।
৮৮ বছর বয়সী এ চিত্রশিল্পীকে এর আগেও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার পাশাপাশি তার হৃদরোগও রয়েছে।
বহু ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুর্তজা বশীর ১৯৩২ সালের ১৭ অগাস্ট ঢাকার রমনায় জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে বিমূর্ত বাস্তবতার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’ ছাড়াও বেশকিছু উল্লেখযোগ্য চিত্রমালা রয়েছে।
‘রক্তাক্ত ২১শে’ শিরোনামে ভাষা আন্দোলন নিয়ে ‘লিনোকাট’ মাধ্যমে একটি চিত্রকর্ম রয়েছে তার। পেইন্টিং ছাড়াও ম্যুরাল, ছাপচিত্রসহ চিত্রকলার বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন।
‘টাটকা রক্তের ক্ষীণরেখা’ শিরোনামে একটি বইতে নিজের লেখা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছেন মুর্তজা বশীর। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা উপন্যাস ‘আলট্রামেরিন’। মুদ্রা ও শিলালিপি নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।
চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান মুর্তজা বশীর; স্বাধীনতা পুরস্কার পান ২০১৯ সালে।
বিএ-০২