পুতিন বিরোধী নেতাকে ‌'বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল'

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২৫, ২০২০
০১:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৫, ২০২০
০১:৪১ অপরাহ্ন



পুতিন বিরোধী নেতাকে ‌'বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল'

গুরুতর অসুস্থ রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির চিকিৎসায় নিয়োজিত বার্লিন হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে সম্ভবত বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বার্লিনের শ্যারিটি হাসপাতাল বলেছে, রোগীকে পর্যবেক্ষণ ও তার চিকিৎসা সম্পর্কিত প্রমাণ থেকে ধারণা পাওয়া গেছে কোলনেস্টেরেইস ইনহিবিটরস গ্রুপের একটি উপাদানের মাধ্যমে তাকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল।

কিন্তু রাশিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, তার শরীরে এ উপদানের উপস্থিতি ছিল না।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনি গত বৃহস্পতিবার দেশটির একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার তমস্ক থেকে রাজধানী মস্কো যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, নাভালনি ফ্লাইটের ভিতরে যন্ত্রণায় মোচড়াচ্ছেন।

তার সমর্থকদের ধারণা, তমস্ক বিমানবন্দরে চা পান করার আগেই তার পানীয়তে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

অসুস্থ নাভালনিকে নিয়ে তার ফ্লাইট সাইবেরিয়ার ওমস্কে জরুরি অবতরণ করে। ওই শহরেরই একটি হাসপাতালে তাকে প্রথম চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

জার্মান চিকিৎসক দলের দেওয়া সর্বশেষ বিবৃতিতে ওমস্কের চিকিৎসকরা বলেছেন, পরীক্ষায় নাভালনির শরীরে কোলনেস্টেরেইস ইনহিবিটরসের কোনো লক্ষণ তারা পাননি।

গত সপ্তাহে আরেক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছিলেন, রক্তের চিনির মাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাভালনি।

গত শুক্রবার তারা বলেছিলেন, বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো শারীরিক অবস্থা নাভালনির নেই কিন্তু পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে তাকে বার্লিনে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন তারা। এরপর শনিবার সকালে নাভালনিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বার্লিনে গিয়ে পৌঁছায়।

নিজেদের বিবৃতিতে জার্মানির চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা গুরুতর হলেও প্রাণ সংশয়ের কোনো আশঙ্কা নেই। প্রকৃত উপাদানটি এখনও শনাক্ত হয়নি। ব্যাপকভিত্তিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। স্বনির্ভর বিভিন্ন গবেষণাগারে করা বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় বিষের প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পরীক্ষাগুলোর ফলাফল এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। নাভালনির স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জার্মান চিকিৎসক দল।

বিএ-০৬