বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
আগস্ট ২৯, ২০২০
০৪:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৯, ২০২০
০৪:১৯ অপরাহ্ন
সিলেটের বিশ্বনাথে শফিক মিয়া (৩৮) নামের এক রিকশা চালক খুন হয়েছেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিংরাই থানার রফিকনগর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের রাজনগর রোডস্থ নিয়ামত আলীর কলোনীতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজনগর গ্রামের বাসিয়া নদীর তীরবর্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ১২টায় থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, শফিক মিয়াকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নির্জন রাস্তায় নিজ রিকশার চাকার সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে যায়। তার মাথার পিছনে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ সিলেট ওসমানী হসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, নিহত শফিক মিয়ার পিতা শাহজাহান মিয়া দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে স্বপরিবারের বিশ্বনাথের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে তিনি উপজেলার শাহজিরগাঁও গ্রামে নিহত শফিক মিয়া ছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন। নিহত শফিক মিয়া একজন গাছ কাটা শ্রমিক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি গাছ কাটার পাশাপাশি ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। নিহত শফিক মিয়া প্রায় ৭ বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর তিনি পিতা-মাতার কাছ থেকে পৃথক হয়ে যান। তবে পিতা-মাতার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। নিহত শফিকের ১ ছেলে, ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে নিহত শফিক রিকশা নিয়ে বের হন। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি নিহত হন। নিহত শফিক মিয়া একজন সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে নিহতের পিতা শাহজাহান মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ছেলের সঙ্গে এলাকার কারও বিরোধ নেই। তবে কি কারণে শফিককে হত্যা করা হল তা বুঝে উঠতে পারছিনা। হত্যাকারীদের খুজে বের করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন, নিহতের লাশটি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বুঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
এমএএস/বিএ-১২