বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
১১:১৩ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
০১:১০ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বিয়ানীবাজারে দেড় শতাধিক গ্রাহকের প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান। ‘সিলেট সেভিংস এন্ড ক্রেডিট সিএস লিমিটেড’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কাউকে গতকাল বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আব্দুর রহীম।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের দাসগ্রামে ওই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় কার্যালয় ছিল। সেটি এখন বন্ধ রয়েছে। এতে সঞ্চয় জমা প্রদানকারী গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। গতকাল বুধবার সকালে তারা অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন।
জানা যায়, গত দেড় মাস পূর্ব থেকে বিয়ানীবাজার এলাকায় সমবায় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করে ‘সিলেট সেভিংস এন্ড ক্রেডিট সিএস লিমিটেড’। স্থানীয় অফিসে ‘সিলেট সেভিংস এন্ড ক্রেডিট সিএস লিমিটেড’ নামীয় বড় সাইনবোর্ড টানায় তারা। তারা সহজ পদ্ধতিতে গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে স্থানীয় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয় জমা নেওয়া শুরু করে। তাদেরকে বুধবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে গ্রাহকরা অফিসের কর্মী কল্পনাকে ফোন দেন। এ সময় কল্পনা বলেন, ‘অফিসের ম্যানেজার জাকারিয়া মঙ্গলবার রাত থেকে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না। পরদিন বুধবার সকালে অফিসে গিয়ে দেখতে পাই অফিসে তালা ঝুলছে। এরপর থেকে আমিসহ আমাদের এলাকার আরও ২ জন কর্মী স্যারকে খুঁজতে সিলেটে এসেছি। যদি না পাই, তাহলে স্যারের বাড়ি জৈন্তাপুরে যাব।’
ওই সমবায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুরে বলে জানা গেছে। তার পুরো নাম জাকারিয়া আহমদ।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, কেউ ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করবেন, কেউ অটোরিকশার জন্য টাকা নেবেন আবার কেউ বা নতুন কোনো কাজ শুরু করবেন বলে সিলেট সেভিংস এন্ড ক্রেডিট সিএস লিমিটেডে টাকা জমা দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে সিলেট সেভিংস এন্ড ক্রেডিট সিএস লিমিটেডের ম্যানেজার জাকারিয়া আহমদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে (০১৬৪৩৩০৮৯৩২) যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা আছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই প্রতারক চক্রের প্রধান জাকারিয়ার নাম-ঠিকানা ভুল। এরপরও আমরা তাকে খোঁজার চেষ্টা করছি।'
এসএ/আরআর-০৩