‌‘উৎসবহীন দুর্গাপূজা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে’

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
০৬:১০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
০৬:১০ পূর্বাহ্ন



‌‘উৎসবহীন দুর্গাপূজা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে’
পূজা উদযাপন পরিষদের সভা

ফাইল ছবি

এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এই উৎসব। গতকাল শুক্রবার সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিনিধি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সভায় বক্তারা বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির দুর্যোগময় মুহূর্তে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা কোনোভাবেই উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করা সমীচীন হবে না। পূজার ধর্মীয় আচার পালন করা হবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে।’ পূজা আয়োজনে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা করে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানান।  

সকালে সিলেট নগরের চৌহাট্টায় শ্রী শ্রী ভোলাগিরী আশ্রমে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে বার্ষিক এই প্রতিনিধি সভা আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের প্রস্তাবনার আলোকে সভায় ৩৮টি প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি পূজা মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুর্গাপূজা উৎসবহীন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরোহিত, ভক্ত ও দর্শনার্থী সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান এবং ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ জানানো হয়।

ঢাক-ঢোল, কাসর ও বাদ্যযন্ত্র ছাড়া কোনো রকম সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। এবারের পূজায় দলভেদে প্রসাদ বিতরণ করা যাবে না এবং অঞ্জলি গ্রহণ করা যাবে না। তবে স্বল্পসংখ্যক ভক্তকে নিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে একাধিকবার অঞ্জলি প্রদান করা যাবে। পূজায় আরতি প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং সন্ধ্যা আরতির পর দর্শনার্থী ও ভক্তদের পূজা মন্ডপে আগমন নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে কোনো শোভাযাত্রা করা যাবে না। নারী-শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিসর্জনস্থলে উপস্থিত করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থের সভাপতিত্বে ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ।

সভায় প্রতিটি উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর শাখার সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। সভায় ১২ সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয় এবং যেকোনো প্রয়োজনে সকলকে মনিটরিং কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মহানগর শাখার সভাপতি সুব্রত দেব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, জেলা সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সুবল পাল, সহ সভাপতি অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, মহানগর শাখার সিনিয়র সদস্য তপন মিত্র, যুগ্ম সম্পাদক চন্দন দাস, জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক মানিক লাল দে, জেলা কমিটির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিপ্রদাস ভট্টাচার্য্য, মহানগর ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জিডি রুমু, সদর উপজেলার সভাপতি নিলেন্দু ভোষণ দেব অনুপ, বিশ্বনাথ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল দেব, বালাগঞ্জ উপজেলার সভাপতি রজত দাস ভূলন, কানাইঘাট উপজেলার সভাপতি ভানু লাল দাস, বিয়ানীবাজার উপজেলার যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, জৈন্তাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক দুলাল দেব, জকিগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব, ওসমানীনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ডি কে জয়ন্ত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বিজন দেবনাথ, বাগানভেলীর সভাপতি রাজু গোয়ালা, গোয়াইনঘাট উপজেলার সদস্য সচিব সুলাল দেব প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহযোগী সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অরুন দেবনাথ সাগর, মহানগর পূজা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, মনোজ কান্তি দত্ত মুন্না, ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি রকি দেব, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় দাস ধনু প্রমুখ।

বিএ-০২