নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
০৮:০৪ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
০৮:০৪ অপরাহ্ন
-ফাইল ছবি
সিলেটের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজ, আলু, আদার দাম বেড়েছে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজিও।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট ও আম্বরখানা ঘুরে জানা যায়, বাজারে ৫০ টাকা কেজিতে ভারতীয় পেঁয়াজ ও ৬০ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহে এসব বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে আদার। কয়েকদিন আগেও ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া আদা এখন ২৫০ টাকার কমে মিলছে না। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ী তারেক মিয়া বলেন, গত বছর এই সময়ে আলুর দাম প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২২ টাকা ছিল। এবার ৪০ টাকা হয়ে গেছে। পেঁয়াজের দাম কয়েকদিনের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকারী বাজারের সিন্ডিকেট দায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে নগরের কালীঘাট পাইকারী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কালীঘাটে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা কেজিতে গড়ে ১০ টাকা লাভ করে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ক্রেতা বলেন, ‘সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজই করছে না। তাই বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো অর্থ আদায় করছেন।’ তিনি বলেন, ‘আগে যে টাকা দিয়ে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি, এখন সেই টাকায় ৩ কেজি কিনতে পারছি।’
সিলেট নগরের কয়েকটি সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি উঠেছে। তবে দাম চড়া। প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচও। কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৩০০ টাকার কমে মিলছে না। এছাড়া প্রতি কেজি গাজর ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, ঝিঙা ও চিচিঙা ৫০ টাকা, করোলা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা ও ঢেঁড়স ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জালি লাউ আকারভেদে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি ও আমদানি করা রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, হলুদ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, জিরা মানভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, এলাচ ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, তেজপাতা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চিনি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, কোম্পানীভেদে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা, বড় দানার মসুর ডাল ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৩০ টাকা ও ময়দা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। প্রতি হালি মুরগির ডিম ৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে প্রচুর সরবরাহ দেখা গেছে মাছের। বাজারে রুই (আকারভেদে) ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতলা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দামও বেশি। প্রতি কেজি জিারা কাটারি আতপ ৫০ টাকা, লোকাল মালা ৪৮ টাকা, পাইজাম আতপ ৫০ টাকা, কালীজিরা ৭৫ টাকা, চিনিগুঁড়া ১০০ টাকা, জিরা সেদ্ধ ৬০ টাকা, মিনিকেট সেদ্ধ ৫২ টাকা, মালা সেদ্ধ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম গড়ে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নগরের রিকাবীবাজারের এক ব্যবসায়ী।
বিএ-২০