জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
০৯:৪২ অপরাহ্ন

আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
০৯:৪২ অপরাহ্ন

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ আসামপাড়া সামাজিক কবরস্থান রক্ষার দাবিতে জৈন্তাপুরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন মৌজার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের আসামপাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আসামপাড়া মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান পরিচালনা কমিটির ডাকে ভূমি অধিগ্রহনের নকশা পরিবর্তন করে মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা সাইফুল ইসলাম বাবুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, ২ নম্বর জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক আলী, মুক্তিযোদ্ধা মিরন মেম্বার, মুক্তিযোদ্ধা হরমুজ আলী, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধক্ষ্য আবু সুফিয়ান বেলাল, ব্যবসায়ী নূর মিয়া, আব্দুল মতিন, সেলিম চৌধুরী, মস্তাক চৌধুরী, মহসিন মিয়া, ময়না ড্রাইভার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, আব্দুল মন্নান, শাহজাহান মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য কবির আহমদ, রহমত মেম্বার, কবির আহমদ, আফতাব ড্রাইভার, সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, মানিক মিয়া, ছাত্রনেতা মফিজুল ইসলাম, রফিক মিয়া, জসিম উদ্দিন প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ সামাজিক কবরস্থান হলো আসামপাড়া কবরস্থান। এই কবরস্থানে শায়িত আছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশ নেওয়া ২০ জনের অধিক সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাছাড়া এটি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গণকবর। স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এটি কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি সরকার জনসাধারণের চলাচল এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি চার লেন সড়কে উন্নিত করে। এই চার লেন মহাসড়কের জন্য আমাদের ঐহিত্যবাহী স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত গণকবরসহ ২০ জনের অধিক মুক্তিযোদ্ধাসহ অত্রাঞ্চলের ৮ মৌজার কয়েক লাখ মৃত ব্যক্তির কবরস্থানের উপর দিয়ে নকশা তৈরি করে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকারের উন্নয়নকাজে আমাদের কোনো বাধা নেই। আমরাও চাই সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। ঐতিহ্যবাহী আসামপাড়া মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থানের ভূমি বাদ দিয়ে রাস্তার বিপরীত পাশে ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাই।

তাঁরা বলেন, আমরা প্রাণ দিয়ে হলেও ঐতিহ্যবাহী কবরস্থানটি রক্ষার উদ্দেশে আজ এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। ইতোমধ্যে আমরা সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ মাননীয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি মহোদয়ের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, গণকবরসহ এলাকার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির কবরস্থান রক্ষা করে চার লেন সড়ক নির্মাণ করা হোক। সামাজিক কবরস্থান রক্ষায় আমরা প্রাণ দিতে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা কোনো অবস্থায় কবরস্থানের উপর দিয়ে চার লেন সড়ক যেতে দেব না।

আরকে/আরআর-০৭