শাবি প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
১০:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
১০:৪৪ অপরাহ্ন
করোনা পরিস্থিতিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুরু হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী অনলাইন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অনুষ্ঠান।
আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো রাশেদ তালুকদার।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি বিভাগে দিনপ্রতি ৭টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মোট চার ধাপে জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন আলোচনা চলবে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় যোগ দেওয়ার জুম মিটিং আইডি : ৮৪০৪৭৬০০৭৮ এবং পাসওয়ার্ড : ১৪৪০৮০।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান ও বাংলা বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।
দ্বিতীয় পর্বে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর অর্থনীতি, ইংরেজি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।
তৃতীয় পর্বে পরের আগামী ১ অক্টোবর রসায়ন, জিয়োগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট, গণিত, পদার্থ, পরিসংখ্যান, সমুদ্রবিদ্যা ও বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।
চতুর্থ এবং সর্বশেষ পর্বে আগামী ৮ অক্টোবর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, আর্কিটেকচার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, 'শিক্ষার্থীরা অনেকদিন যাবত বাড়িতে রয়েছে। তাদের মানসিক অবস্থা যেন কোনো কারণে যাতে খারাপ না হয় এর জন্য আমাদের এ উদ্যোগ। জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে। কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন নেছা শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিবেন। আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো একটি সাপোর্ট আমরা দিতে পারব। এছাড়া পরিচালক, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দপ্তর থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ হয়েছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'করোনাকালীন সময়ে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত। তাই শিক্ষার্থীরা যাতে বিপদগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে আমরা অবসাদগ্রস্ততা বা হতাশাগ্রস্ততা দূর করার চেষ্টা করছি। এজন্য আমরা এই সেবাটি দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি যারা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত তারা এই সেবা নিয়ে পুনরায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারবে। তাই আমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।'
এইচএন/আরআর-০১