নর্থ ইস্ট হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
০৩:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
০৪:১৫ অপরাহ্ন



নর্থ ইস্ট হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা বন্ধ

নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়া এবং অন্য রোগের আক্রান্তদের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গতকাল রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে করোনার চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. নাজমুল ইসলাম। 

তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘রবিবার থেকে আমরা করোনা রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করছি। আগামী মাসে আমাদের মেডিকেল কলেজ শাখার পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া সিলেটে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে। এসব কারণেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

সরকার বিভিন্ন কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. নাজমুল ইসলাম। গতকাল রবিবার থেকেই তারা এই সেবা বন্ধ করেছেন। ফলে এখন থেকে করোনা পজেটিভ কোনো রোগী ভর্তি করা হবে না। তবে যেসব কোভিড পজেটিভ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া করোনা সন্দেহজনক হিসেবে যারা হাসপাতালে ভর্তি হবেন তাদের আইসোলেশনে রাখা হবে। পরবর্তীতে তাদের পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল বা অন্য কোনো হাসপাতালে পাঠানো হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত পহেলা জুন থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রবিবার পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে সেবা প্রদান করে হাসপাতালটি। 

এদিকে, রোগী সঙ্কটের কারণে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। একই কারণে সিলেটের খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা হাসপাতাল ও সমান সংখ্যক শয্যার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনা চিকিৎসা বন্ধ করতে যাচ্ছে সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগ। 

গত ২৭ অগাস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি চিঠি পাঠায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞার পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় কিছু হাসপাতাল রেখে বাকিগুলোর কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন।

বিএ-১১