ক্রীড়া প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
০৯:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
০৯:১২ অপরাহ্ন
বাতাসে উড়ে কেদার যাদবের ক্যাচটি একহাতে তালুবন্দি করেন ম্যাচসেরা সঞ্জু স্যামসন।
চলতি আইপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হারল চেন্নাই সুপার কিংস। বলতে গেলে রাজস্থানের রানপাহাড়ে চাপা পড়ল চেন্নাই। শারজায় মঙ্গলবার রাতে রাজস্থান রয়্যালস পায় ১৬ রানের জয়। গতকাল মঙ্গলবার ছক্কার ঝড় উঠল চেন্নাই-রাজস্থান ম্যাচে। ৩৩টি ছক্কা হাঁকালেন দু’ দলের ব্যাটসম্যানরা। রাজস্থান মারল ১৭টি ছক্কা। চেন্নাই মারে ১৬টি ছক্কা।
টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০ ওভারে রাজস্থান করে সাত উইকেটে ২১৬ রান। এ বারের আইপিএলে এটাই সর্বোচ্চ রান। জবাব দিতে নেমে চেন্নাই থেমে যায় ছয় উইকেটে ২০০ রান।
রাজস্থান ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরে স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসন চেন্নাই বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেন। বেশি মারমুখী ছিলেন সঞ্জু। মাত্র ১৯ বলে পঞ্চাশ রান করেন তিনি। ৩২ বলে ৭৪ রান করে এনগিডির বলে আউট হন সঞ্জু।ন’টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। সঞ্জু ফেরার পরে রাজস্থানের ইনিংস টানেন স্মিথ। ৪৭ বলে ৬৯ রান করেন অজি ব্যাটসম্যান। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে এক সময়ে মনে হয়েছিল দুশো পেরোতে পারবে না রাজস্থান। কিন্তু শেষ ওভারে জঘন্য বোলিং করেন এনগিডি। নো-ওয়াইড মিশিয়ে ন’ বল করেন তিনি। তাঁর ওভারে আসে ৩০ রান। চারটি ছক্কা মারেন জোফ্রা আর্চার। ৮ বলে ২৭ রান করে আর্চার রাজস্থানকে নিয়ে যান দারুণ জায়গায়। এনগিডির ওভারে বিরক্ত ধোনি ম্যাচের শেষে বলেন, “আমরা যদি নো বল করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতাম, তা হলে ২০০ রান তাড়া করতাম।”
রাজস্থানের করা পাহাড়সম রান তাড়া করতে নামা চেন্নাইর শুরুটা ভাল হয়নি। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে উইকেট হারিয়ে চাপ পড়ে যায় ধোনি বাহিনী। বেড়ে যায় আস্কিং রেট। একমাত্র ডু প্লেসিস ৩৭ বলে ৭২ রান করেন। ডু প্লেসিস আউট হওয়ার পরে শেষ ওভারে ধোনি তিনটি ছক্কা হাঁকান। ১৭ বলে ২৯ রান করেন ধোনি।
এএন/০১