জৈন্তাপুরে ৫শ একর বোরো ভূমির বাঁধে বৃক্ষরোপন শুরু

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
১০:৪৯ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
১০:৪৯ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে ৫শ একর বোরো ভূমির বাঁধে বৃক্ষরোপন শুরু
কৃষক সংগঠনের উদ্যোগ

সিলেটের জৈন্তাপুরে নিজস্ব পতিত ভূমি বোরো ধানের আওতায় নিয়ে আসতে সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে ৭১টি পরিবারের প্রায় ৫শ একর ভূমি প্রথমবারের মতো বোরো ফসলের আওতায় নিয়ে আসতে নিজ উদ্যোগে ১০ হাজার ফুট বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধরক্ষায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হিঙ্গারীকোন (শিংকুড়িকোনা) এলাকার সোটারী সেনগ্রামের কৃষকদের নিজস্ব ভূমি পতিত হিসেবে হাওরে পড়ে রয়েছে। বিশেষ করে বাঁধের অভাবে কোনো সময় পতিত ভূমিগুলো কৃষি চাষাবাদের আওতায় আসেনি। এবার নিজ উদ্যোগে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ৭১টি পরিবারে সদস্যরা প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে ১০ হাজার ফুট বাঁধ নির্মাণ করে প্রায় ৫শ একর ভূমি বোরো ধান চাষাবাদের উপযোগী করে তোলেন। বন্যার পানি থেকে ফসলরক্ষার জন্য সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠন বাঁধটির উপর ১৫ হাজার বৃক্ষের চারারোপনের উদ্যোগ নেন।

আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সংগঠনের সভাপতি আহমদ আলীর সভাপতিত্বে জৈন্তাপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদ, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নোমান আহমদ, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির উপস্থিত হয়ে বৃক্ষের চারারোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের সদস্য কলিম উল্লাহ, আহমদ আলী, হানিফ আলী, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, নজির হোসেন, কুদরত উল্লাহ প্রমুখ।

সংগঠনের সভাপতি আহমদ আলী বলেন, 'আমরা নিজ উদ্যোগে বাঁধটি নির্মাণ করার ফলে স্বাধীনতার পরবর্তীতে প্রথমবারের মতো আমাদের নিজস্ব পতিত ভূমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসায় আমাদের ৭১টি পরিবারের ৮ শতাধিক সদস্য নিজ উৎপাদিত ধান দিয়ে পুরো বছর চলে গিয়ে আরও ধান বিক্রয় করতে পারব। আমরা আশাবাদী, জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস যদি কৃষকদের মধ্যে বোরো ধান চাষের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে, তাহলে আমরা চাহিদার চেয়ে আরও বেশি ফলন পাব। উপজেলায় সর্ববৃহৎ বোরো ধানের একটি বড় প্রকল্প হবে হিঙ্গারীকোন (শিংকুড়িকোনা) বোরো ধান প্রকল্প।'

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি তাদের নিজস্ব ভূমিতে বাঁধ নির্মাণ করে বোরো ধান চাষের আওতায় নিয়ে আসার কারণে ফাল্লি বিলের ইজারাদার আব্দুল খালিক, জয়নাল মিয়া, আব্দুল্লাহ ও তোতা মিয়া গংরা শত্রুতা শুরু করেছে। তারা বাঁধটি ভাঙার পাঁয়তারা করছে। ইতোমধ্যে ইজারাদার গংরা ফাল্লি বিল ইজারা নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে তাদের বাঁধটি ৩টি অংশে কর্তন করেছে। এই বাঁধ কর্তনের কারণে চাষাবাদের ক্ষেত্র ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক আইনি সহযোগিতা কামনা করেন। 

 

আরকে/আরআর-১৬