এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
০৫:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
০৫:৪২ অপরাহ্ন



এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার

এমসি কলেজের হোস্টেলে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার সকালে নগরের শাহপরান থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী। তবে এখনো এঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে কলেজ হোস্টেল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

মামলার আসামিরা হলেন, এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

এদিকে, অভিযুক্তদের ধরতে রাত থেকেই অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। 

পুলিশ জানায়, অভিযানকালে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার উপর পরিদর্শক (এসআই) লিপটন পুরকায়স্থ। 

তিনি জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটমের স্বামী ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও দুই জনকে অজ্ঞান রেখে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া হোস্টেল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত এমসি কলেজের হোস্টেলে এক নারীকে গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।  

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। এসময় ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী তাদের জিম্মি করে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। সেখানে দুজনকে মারধরের পর তরুণীকে ধর্ষণ করে।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই দম্পত্তিকে উদ্ধার করে। পরে তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইিসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

এনএইচ/বিএ-০৪