সিলেটে দাম বেড়েছে চাল ও ভোজ্যতেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
০৫:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
০৫:৫৫ অপরাহ্ন



সিলেটে দাম বেড়েছে চাল ও ভোজ্যতেলের

সিলেটে চাল ও ভোজ্য তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে গড়ে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। পামওয়েল ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে অন্তত ১০ টাকা করে বেড়েছে। পেঁয়াজ এবং সবজিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। 

গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। যদিও পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় দাম কমছে না। তবে শীঘ্রই বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসবে। তখন দাম কমবে। 

বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে, যা কয়েকদিন আগেও ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়। মিনিকেট আতপ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, যা কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায়। সুপার মালা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। লোকাল মালা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজিতে গড়ে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বাজারে কাটারি ৫৫ টাকা, পাইজম আতপ ৫৩ টাকা, জিরা সেদ্ধ ৬২ টাকা, কারিসেদ্ধ ৫৫ টাকা, মিনিকেট সেদ্ধ ৫৩ টাকা ও কাজললতা সেদ্ধ ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম না বাড়লেও চিনিগুঁড়া ৯৫ টাকা ও কালিজিরা ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সিলেট নগরের রিকাবীবাজারের আল-মদিনা স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. রোকন উদ্দিন সিলেট মিররকে বলেন, ‘মিল মালিকরা চালের দাম বাড়াচ্ছেন। এ কারণে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।

সিলেটে আগের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাকসবজিও। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়। কমেছে কাঁচামরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এছাড়া গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, ঝিঙা ও চিচিঙা ৫০ টাকা, করোলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা ও ঢেঁড়স ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

প্রতি কেজি আগাম জাতের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ও বাঁধাকপি ৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়া জালি লাউ আকারভেদে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও আমদানি করা রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, হলুদ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, জিরা মানভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, এলাচ ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, তেজপাতা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কয়েকদিন ধরে পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও। পাম তেল ও সয়াবিন তেল লিটারে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। খুচরায় ৭৩ টাকার পাম তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকায়। সয়াবিন তেল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০টাকা থেকে ১১০ টাকায়। 

সিলেটের বাজারে চিনি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বড় দানার মসুর ডাল ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৩০ টাকা ও ময়দা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। প্রতি হালি মুরগির ডিম ৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ কেজিতে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ও কাতলা ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

বিএ-০৫