৩০০ মসজিদে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক খুতবা

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ০২, ২০২০
১০:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০২, ২০২০
১০:২৮ অপরাহ্ন



৩০০ মসজিদে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক খুতবা
ইমাম সমিতির উদ্যোগ

সিলেট নগর ও শহরতলীর প্রায় ৩০০ মসজিদে গতকাল শুক্রবার ‘যৌন হয়রানি, ব্যভিচার বিস্তারের কারণ ও প্রতিকার’ বিষয়ে খুতবা প্রদান করেছেন মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ। বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার আহ্বানে একই খুতবা প্রদান করেন তারা। 

জানা গেছে, গত সোমবার নগরের মধুবনস্থ ইমাম সমিতির কার্যালয়ে উলামায়ে কেরামকে নিয়ে পরামর্শ সভা করেন ইমাম সমিতির দায়িত্বশীলগণ। মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে নগরের ইমাম-খতিবগণ যৌন হয়রানি, ব্যভিচার বিস্তারের কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে একটি বাংলা খুতবা প্রণয়নের পরামর্শ দেন। বৈঠক থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি খুতবা তৈরি করেন। প্রণয়নকৃত খুতবাতে যৌন হয়রানি ও ব্যভিচার বিস্তারের ১০টি কারণ চিহ্নিত করা হয়। ঐ কারণগুলোর সঙ্গে কোরআন সুন্নাহ দলিলাদি সংযুক্ত করে একটি বুকলেটও ছাপানো হয়। নগরের সকল মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ প্রণয়নকৃত খুবতার কপি হাতে শুক্রবার খুতবা দেওয়ায় সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে সাড়া পড়ে।

সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, হজরত শাহজালাল (রহ.) মসজিদ, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় জামে মসজিদ, কালেক্টরেট জামে মসজিদ, হাজী কুরদত উল্লাহ জামে মসজিদ, শাহ আবু তুরাব জামে মসজিদ, জজ কোর্ট জামে মসজিদ, তালতলা জামে মসজিদ, নাইরপুল জামে মসজিদ, শিবগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ, টিলাগড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, আম্বরখানা জামে মসজিদ, কুমারপাড়া জামে মসজিদ, নয়াসড়ক জামে মসজিদ, রিকাবীবাজার জামে মসজিদ, আল মদিনা (মদিনা মার্কেট) জামে মসজিদ, আখালিয়া নবাবী জামে মসজিদ, শেখঘাট জামে মসজিদ, খোজারখলা মারকাজ জামে মসজিদ, ভার্থখলা জামে মসজিদ, কদমতলী জামে মসজিদ, কাজলশাহ জামে মসজিদ ও সুবিদবাজার জামে মসজিদসহ প্রায় ৩০০ মসজিদের খতিবগণ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

খতিবগণ বলেন, ‘আধ্যাত্মিক রাজধানীখ্যাত সিলেটে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কল্পনাতীত।’ খতিবগণ খুতবার বিষয়ে যৌন হয়রানি ও ব্যভিচার বিস্তারে যেসব কারণ চিহ্নিত করেছেন এর মধ্যে অশ্লীল ছায়াছবি, কমেডি অশ্লীলতা, অশ্লীল বিজ্ঞাপন, সহশিক্ষা-সহকর্ম, স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের অপব্যবহার, মোবাইল চ্যাটিং, মাদকের ছড়াছড়ি, পর্নগ্রাফির প্রসার, নারী-পুরুষের অবাধ চলাফেরা, পর্দাহীনতা ও অপরাধীদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চিহ্নিত করে বক্তব্য প্রদান করেন।

খতিবগণ অভিভাবক ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘প্রতিটি ঘরে ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষা নিশ্চিত করা, ছেলে-মেয়েদের বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা, পাঠ্যপুস্তকে দ্বীনিশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ছেলেমেয়েদের যথা বয়সে বিয়ের ব্যবস্থা করা, যৌন আবেদনময়ী পোষাক পরিহার, যৌন হয়রানি, যিনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং প্রত্যেক পাঠ্যপুস্তকে নবী জীবনের অধ্যায় সংযোজন করার জোর দাবি জানান। 

বিএ-০২