সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ০৪, ২০২০
০১:১৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৪, ২০২০
০২:০০ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত ট্রাইবুনালে বিচার, ধর্ষকদের প্রশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তার ও ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের উদ্যোগে এমসি কলেজ অভিমুখে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে নগরের জিন্দাবাজার, জেলরোড, শিবগঞ্জ, টিলাঘর হয়ে এমসি কলেজের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। যাত্রাপথে বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় এমসি কলেজের প্রধান ফটকে মূল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সিলেট মহানগরের আহ্বায়ক সঞ্জয় শর্মার সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া নোশিন তাসনিমের পরিচালনায় এমসি কলেজের সম্মুখে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাস, ছাত্র ইউনিয়ান সিলেট জেলার সভাপতি সরোজ কান্তি, সাধারণ সম্পাদক নাবিল হোসেন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ঢাবি সংসদের সংগঠক জাবির হোসেন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সহসম্পাদক মনীষা ওয়াহিদ, ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগরের প্রচার সম্পাদক নিশাত কর সানী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাসের মতো স্থানে এই ধরণের ঘটনা গোটা জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। এই গণধর্ষণের ঘটনায় সারাদেশের মতো আমরাও মর্মাহত। কলেজ প্রশাসনের দায়হীন মন্তব্যেও আমরা ক্ষুব্ধ।’ দীর্ঘদিন থেকেই এমসি কলেজ ক্যাস্পাস ও ছাত্রাবাসে ক্ষমতাসীদের ছত্রছায়ায় দখলদারিত্ব চলছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এসব বিষয়ে কলেজ প্রশাসনও দায় এড়াতে পারে না।বিগত সময়ের দিকে তাকলেও আমরা দেখতে পাই যে এমসি কলেজে দলীয় কোন্দলে বহুসংখ্যক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, ছাত্রাবাস পুড়নো, খদিজাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করাসহ নানা ঘটনায় যুক্ত থাকার ব্যাপারে যাদের নাম এসেছে,তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই বাংলাদেশ ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে ছিলেন।’ তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। এসব অপরাধের ঘটনার বিচার না হওয়ায় এসব সন্ত্রাসীরা গণধর্ষণের মত পৈশাচিক ঘটনা ঘটানোর সাহস পেয়েছে।’
তারা সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করলেও তাদেরকে বিচার কিংবা শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।’ এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি তাদের মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ এ ঘটনায় কলেজ প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, ‘কলেজ বন্ধ থাকার পরেও কেন ছাত্রাবাস খোলা থাকবে? এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ছাত্রাবাসে ঘটা নানা অপকর্মের কথা বের হয়ে এসেছে। অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপাররা কি এসব জানতেন না? তাই এ ঘটনার দায় কলেজ প্রশাসন এড়াতে পারেন না। আমরা কলেজের অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের পদত্যাগের দাবি জানাই।’
সমাবেশ থেকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর’২০ সকাল ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।