নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ০৫, ২০২০
০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৫, ২০২০
০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনগৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে আটকে রেখে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রামিজা আক্তার মার্জিয়াকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করা হয়। মেয়েকে না পেয়ে মামলা দায়ের করায় বাবার বাড়িঘর পোড়ানো এবং পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন রামিজা আক্তার মার্জিয়ার বাবা দিনমজুর নজরুল ইসলাম এবং মা আসমা বেগম। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একই গ্রামের মারুফ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার ছৈলাখেল গ্রামের একটি চক্র গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে মার্জিয়াকে নিয়ে যায়। তারা তিন হাজার টাকা বেতনও নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই তারা মার্জিয়াকে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। সবশেষ চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রতারক চক্রের সদস্যদের মধ্যে জসিম, মাহমুদ খোকন, খোদেজা বেগম, খন্দকার জুবায়ের, নাছির উদ্দিন, খন্দকার মারুফা ও তার সহযোগীরা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মার্জিয়ার লাশ গুম করে।’
মার্জিয়াকে নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। কুপ্রস্তাবও দেয়া হতো। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা মার্জিয়াকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মার্জিয়া বাড়িতে ফোন ফোন করে মা’কে এসব বিষয় জানিয়েছিল। তারা মেরে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। এরপর মার্জিয়ার সঙ্গে মায়ের আর ফোনালাপ হয়নি।’
গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে মার্জিয়ার মা গৃহকর্তা খোদেজা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তার মেয়েকে একটি প্রোবক্স গাড়িতে সিটের সঙ্গে কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এসময় তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে দেয়নি। পরে তারা মার্জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দাবি করে পিতা-মাতার কাছ থেকে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এরপর মার্জিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায়। এরপর তারা জানায় মার্জিয়ার মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু করোনার কারণে লাশ বাড়িতে নেওয়া যাবে না। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ ফেরত চাওয়া হলে তারা নানা টালবাহানা করে।’
এরপর মার্জিয়ার বাবা সিলেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে জানান নজরুল ইসলাম। পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
বিএ-০২