নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ০৬, ২০২০
০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৬, ২০২০
০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক, মোটরবাইক, মিশুক জাতীয় যানবাহন বন্ধ করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (৫ অক্টেবর) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. জাকারিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক, মোটরবাইক, মিশুক জাতীয় যানবাহন সম্পূর্ণ রূপে চলাচল, বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু সিলেটের প্রশাসনকে এ বিষয়ে বারবার বলা হলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।’
সিলেট মহানগর এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি চেয়ে তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা ও অন্যান্য থ্রি-হুইলার জাতীয় যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এই মহাসড়ক সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা, ওসমানীনগর উপজেলা, বিশ্বনাথ উপজেলা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মানুষ আসা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম। এই উপজেলাগুলোর মানুষের যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না রেখে এভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করাটা কতটুকু যুক্তিসংগত? সিলেট মহানগর এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের অংশটুকু সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিলে অন্তত বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা ও ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ উপজেলার মানুষ যাতায়াতের সুবিধাটা পাবেন। এছাড়া শ্রমিকদেরও জীবিকা নির্বাহের পথ একটু হলেও সুগম হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে আঞ্চলিক রোড দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবন-জীবিকা রক্ষার কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই। কারণ আঞ্চলিক সড়কগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক, মটরবাইক, মিশুক ইত্যাদি যানবাহনে ভরপুর। আঞ্চলিক রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা টিকে থাকতে পারে না। কারণ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়, রুট পারমিট, ট্যাক্স, ফিটনেস ইত্যাদি ফি দিতে হয়। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক কেবল বিদ্যুতের চার্জের মাধ্যমেই চলাচল করতে পারে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা টিকে থাকা খুবই কঠিন।’
ডিপো ছাড়া অন্যান্য জায়গা থেকে বিআরটিসি বাস যাত্রী তোলার কথা না থাকলেও নিয়ম লঙ্ঘন করে যত্রতত্র যাত্রী তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মো. জাকারিয়া। এর ফলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়ার পরও অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেন মো. জাকারিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট-বালাগঞ্জ-সুলতানপুর সড়ক ও সিলেট মদিনা মার্কেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত রাস্তাসহ ছোট গাড়ির চলাচল অনুপোযোগী রাস্তা সংস্কারের দাবি জানানো হয়। ৫ দফা দাবি বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। ১৩ অক্টোবরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে ১৪ অক্টোবর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিলেটের সকল সিএনজিচালিত অটোরিকশা একযোগে জমা দেওয়া হবে বলে জানান মো. জাকারিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা আর গাড়ি চালিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে চাই না।’
বিএ-০৪