সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১৩, ২০২০
০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০২০
০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
টেন্ডার কারসাজির মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট জেলা পরিষদের ঠিকাদাররা।
গতকাল সোমবার জেলা পরিষদ কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ সভায় তারা এই অভিযোগ করেন। নগরের জিন্দাবাজারে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, ‘সিলেট জেলা পরিষদের কতিপয় কর্মকর্তা সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে টেন্ডার কারসাজির মাধ্যমে তাদের পছন্দমতো গুটি কয়েক ঠিকাদারকে কাজ দিচ্ছেন। মেন্দিবাগ মার্কেট নির্মাণ ও জেলা পরিষদের ডাক বাংলাসহ বিভিন্ন কাজ এই প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোটেশনের মাধ্যমে কাজ না করে বিল তুলে তাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারাও করছেন তারা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট জেলা পরিষদ কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে অনুষ্ঠিত ৫টি (ওটিএম) টেন্ডার বাতিলের আহ্বান জানালে ৪টি টেন্ডার বাতিল করে মূল একটি দুর্নীতির টেন্ডার বহাল রয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত জেলা পরিষদে কতিপয় কর্মকর্তাকে দ্রুত প্রত্যাহার না করা হলে কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন, সিলেটের সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন, জেলা পরিষদ ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সিলেট জেলা পরিষদ কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি তোজাম্মেল হক তাজুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশফাক উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা পরিষদ কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও সিলেট চেম্বারের পরিচালক আব্দুর রহমান জামিল, সুব্রত ধর বাপ্পি, সুদীপ দেব, সাজ্জাদ বখত, কামাল আহমেদ, সোয়েব আহমেদ, এম. ইসমাঈল আলী আশিক।
এছাড়াও বক্তব্য দেন, এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান হাসু, আব্দুল মতিন বেলাল, মো. রাসেল আহমদ, রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিলন আহমদ, আক্তার হোসেন খান, মোবারক হোসেন, শৈলেন কর, আজিজ আহমদ, ওয়াহিদুল ইসলাম রুহেল, শাহ নাজমুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম মিলন, ফারুক আহমদ, মুহিবুর রহমান মিশলু, মাহমুদ হোসেন খান, মো. আল মামুন, মো. সেমুন আহমদ, মুহিবুল হক সোহেব, মাহি উদ্দিন মহি, আব্দুস সামাদ, মো. এমরান আহমদ, মো. বাদশা গাজী, গোলজার আহমদ জগলু, জাকির হোসেন, রুমন আলম, সালেহা বেগম, রিংকু কুমার চন্দ, পারভেজ আহমদ, প্রদীপ কুমার দেব, তাজ উদ্দিন, আবু মোহাম্মদ কাওসার, রোহান আহমদ, সাহেদ আহমদ, এম শাহিন, আফজল আহমদ প্রমুখ।
বিএ-১০