গেইলের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জয়ে ফিরল পাঞ্জাব

ক্রীড়া প্রতিবেদক


অক্টোবর ১৬, ২০২০
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২০
০২:৪৯ পূর্বাহ্ন



গেইলের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জয়ে ফিরল পাঞ্জাব

আইপিএলে ক্রিস গেইলের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে জয়ে ফিরল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। লোকেশ রাহুলের পাঞ্জাব পাত্তাই দিল না বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে শিরোনামটা এমনও হতে পারতো। শেষ ওভারে যে দরকার ছিল মাত্র ২ রান, হাতে ৮ উইকেট। এমন ম্যাচেও অবিশ্বাস্যভাবে শেষ ওভারে উত্তেজনা ছড়াল। ২ রান নিতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো পাঞ্জাবকে। নানা নাটকীয়তা পেরিয়ে অবশ্য আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে প্রীতি জিনতার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রাহুলরা।
এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন গেইল। তবে কিছুটা ধীরগতির ছিলেন, শেষদদিকে তো বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন দলকে। শেষ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল মাত্র ২ রান। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের করা উত্তেজনাপূর্ণ ওভারটিতে প্রথম দুই বলে রান নিতে পারেননি গেইল। তৃতীয় বলে নেন সিঙ্গেলস, পরের বলে স্ট্রাইকে গিয়ে লোকেশ রাহুলও রান তুলতে পারেননি। পঞ্চম বলে কভারে ঠেলে তিনি এক নিতে চাইলে রানআউটের কবলে পড়েন ৪৫ বলে ৫ ছক্কা, ১ চারে ৫৩ করা গেইল।
নতুন ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান আসেন স্ট্রাইকে, উত্তেজনা তখন চরমে। শেষ বলে এক নিতে পারলে জয়, না নিতে পারলে টাই। এমন পরিস্থিতিতে নেমেই লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে উত্তেজনার আগুনে পানি ঢেলে দেন পুরান। পাঞ্জাব হাসে শেষ হাসি।
৪৯ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। জয়ে বড় অবদান ছিল আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালেরও। ২৫ বলে ৪ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শুরুটা করেছিল ঝড়ো গতিতে। কিন্তু এরপর দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বিরাট কোহলির দলকে আটকে রেখেছিলেন ক্রিস জর্ডান-মুরুগান অশ্বিনরা।
১৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রান তুলতে পারে ব্যাঙ্গালুরু। অধিনায়ক কোহলিও যেন টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ব্যাটিংটা করতে পারেননি। ৩৯ বলে মাত্র ৩ বাউন্ডারিতে ৪৮ রান করে ১৮তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। তবে শেষ দুই ওভারে ইনিংস ঘুরিয়ে দেন ক্রিস মরিস আর ইসুরু উদানা। এই যুগল ১৩ বলে যোগ করেন ৩৫ রান।
এর মধ্যে মরিসই ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ৮ বলে তার ২৫ রানের হার না মানা ইনিংসটিতে ছিল ১টি চার আর ৩টি ছক্কা। ১ ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন উদানা। ব্যাঙ্গালুরু তুলে ৬ উইকেটে ১৭১ রান।

এএন/০১