সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১৬, ২০২০
০৪:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২০
০৪:৪৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৩২ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এক বছরে এই দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ হাজার। এদের বয়স ১ থেকে ৪ বছর।
বেসরকারি সংগঠন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের সাত উপজেলায় গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই গবেষণা তথ্য তুলে ধরেন সিআইপিআরবির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বøæমবার্গ ফিলানথ্রপিসের আর্থিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়, সিআইপিআরবি এবং আইসিডিডিআরবির যৌথ উদ্যোগে দেশের সাতটি উপজেলা রায়গঞ্জ, মনোহরদী, শেরপুর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর ও দাউদকান্দিতে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) তথ্য অনুসারে, সারা বিশ্বে আঘাতজনিত কারণে শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু। এ কারণে প্রতিবছর ৩ লাখ ৫৯ হাজার জন পানিতে ডুবে মারা যায়, যার মধ্যে ৯৭ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ৫ বছরের কম। এই মৃত্যু রোধ করতে শিশুর প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি, ডে-কেয়ার সেন্টার, শিশুবেষ্টনী সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আমিনুর রহমান বলেন, ‘মা যখন রান্না, কাপড় ধোয়া, পরিবারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন এ দুর্ঘটনা ঘটে বেশি। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়ার ৫০ শতাংশ ঘটনা ঘটে। এ সময়ে বাড়ির পাশের পুকুর, খালে ডুবে শিশুরা মারা যায়। এসব জলাশয় সাধারণ বাড়ি থেকে ২০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকে। শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখলে এ দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।’
বিএ-১০