ডি’কক ঝড়ে উড়ে গেল কলকাতা

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ১৭, ২০২০
০৪:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০২০
০৪:৫২ পূর্বাহ্ন



ডি’কক ঝড়ে উড়ে গেল কলকাতা

কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা সুখের হল না ইয়ন মর্গ্যানের। কুইন্টন ডি’ককের ঝড়ো ইনিংসে শুক্রবার আবু ধাবিতে ৮ উইকেটে অনায়াসে কলকাতাকে হারাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ১৬.৫ ওভারে পৌঁছল রোহিত শর্মার দল (১৪৯-২)। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এল মুম্বাই। ৮ ম্যাচে তাদের পকেটে ১২ পয়েন্ট। জয় ৬টিতে। অন্য দিকে, ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে চার নম্বরে কলকাতা।

মুম্বাইয়ের এই দুরন্ত জয়ের নায়ক প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন। ৪৪ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছয়। রান তাড়ায় আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম ৬ ওভারে ৫১ রান তুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি’কক। সেটাই ১০ ওভারে দাঁড়াল ৯৪। মুম্বাইয়ের প্রথম উইকেট পড়ল ৯৪ রানে। শিবম মাভির বলে উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন রোহিত (৩৬ বলে ৩৫)। কিন্তু, কুইন্টনকে থামানো যায়নি।

প্রথম ওভার অফস্পিনার ক্রিস গ্রিনকে দিয়ে শুরু করেছিল কলকাতা। কিন্তু লাভ হয়নি। আইপিএলে তাঁর প্রথম বলটাই সীমানায় পাঠিয়েছিলেন রোহিত। পাওয়ারপ্লে-র মধ্যে ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিলেন তিনি। তবে তাঁর বলে কুইন্টনের ক্যাচও পড়ল। তার খেসারতই দিতে হল এর পর। কুইন্টন রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন কেকেআর বোলারদের নিয়ে।

মুম্বাইয়ের ইনিংসের ৫০ এসেছিল ৩৪ বলে। রোহিতের তুলনায় বেশি আগ্রাসী ছিলেন কুইন্টন। এর মধ্যে তাঁর রান ছিল ২৬। রোহিতের ছিল ১৯। কুইন্টনের হাফ সেঞ্চুরি এসেছিল মাত্র ২৫ বলে। সেখান থেকে ম্যাচ শেষ করে ফিরলেন তিনি।

মুম্বাইয়ের  দ্বিতীয় উইকেট পড়েছিল ১৩.৩ ওভারে ১১১ রানে। স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে মারতে গিয়ে ব্যাটে লাগিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব (১০ বলে ১০)। কিন্তু, অন্য প্রান্তে শট খেলেন কুইন্টন। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে কুইন্টন-হার্দিক ২০ বলে যোগ করেছিলেন ৩৮ রান। হার্দিক ১১ বলে অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে। 

তার আগে ম্যাচের প্রথমার্ধে প্যাট কামিংসের ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি ও ইয়ন মর্গ্যানের ব্যাটিং চাপ কাটিয়ে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দল। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে মর্গ্যান ও  কামিংসের জুটি পরিত্রাতা হয়ে উঠেছিল। পাঁচ উইকেটে ১৪৮ তুলেছিল নাইটরা। ৩৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন কামিংস। ২৯ বলে ৩৯ রানে নট আউট ছিলেন মর্গ্যান। 

এএন/০২