পূজার পাঁচদিনের সাজসজ্জা

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ১৭, ২০২০
০৪:০৪ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০২০
০৪:০৬ অপরাহ্ন



পূজার পাঁচদিনের সাজসজ্জা

 

আসছে শারদীয় দুর্গাপূজা।  ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথির মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এ পুজা। তবে এবারের পূজা একটু ভিন্নরকমের। সীমিত পরিসরে ঘোরাঘুরি আর বাড়িতে আনন্দ আয়োজন করে কাটাতে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। তবে সাজতে মানা নেই। আপনার স্বাচ্ছন্দ্য, রুচি ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে সাজুন। আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী যে সাজেই সাজুন সবকিছুর মধ্যে থাকুক নিজস্বতা। 

ষষ্ঠী

ষষ্ঠীর দিন খুব একটা উৎসব দেখা যায় না। তাই অনেকের ঘরেই কাটবে। সুতি, তাঁতের শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ কিংবা যেকোনো পোশাকের সঙ্গে হালকা সাজে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চোখে হালকা আইলাইনার টেনে চোখের নিচে গাঢ় করে কাজল দিয়ে পোশাকের সঙ্গে মানানসই হালকা রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে সাজ শেষ করতে পারেন। এতে হালকা সাজে আপনার লুক হবে স্নিগ্ধ ও মার্জিত। পোশাকের রং হিসেবে উজ্জ্বল রং বেছে নিতে পারেন।

সপ্তমী

সপ্তমীর এই দিনে আমরা দুভাবে নিজেকে সাজাতে পারি। দিনের সাজ ও রাতের সাজ এভাবে ভাগ করে নিতে পারি। দিনের বেলায় সুতি কিংবা হালকা ফেব্রিক্সের যেসব পোশাক যেমন কুর্তি, সেলোয়ার-কামিজ, ফতুয়া বা ওয়েস্টার্ন যেসব পোশাক আছে সেগুলো বেছে নিতে পারি। তবে রং হওয়া চাই গাঢ় উজ্জ্বল, যেমন লাল, টিয়া, কমলা এসব। এদিন হালকা সাজের সঙ্গে চুলে বেণী করতে পারেন অথবা পুরো চুল ছেড়ে দিয়ে একপাশে ফুল পরতে পারেন। আর রাতে ভারী কারুকাজের পোশাক কিংবা গাউন পরতে পারেন। এক্ষেত্রে জমকালো ভাব ফুটে উঠবে। আর ভারী পোশাকের সঙ্গে একটু ভারী সাজও দিতে পারেন। রাতে ফেইসে হালকা ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ব্রাইট কালারের আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। এরপর চোখের নিচের গাঢ় করে কাজল দিয়ে মাশকারা লাগিয়ে নিন। যেহেতু চোখে ভারী সাজ দিয়েছেন তাই ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক লাগিয়ে সাজ শেষ করতে পারেন।

অষ্টমী

অষ্টমীর সতেজ সাজ রাতের জমকালো পার্টিতেও এখন স্নিগ্ধ-সতেজ মিনিমাম মেকআপের ট্রেন্ড চলছে। উৎসবের দিনে তাই মুখভর্তি মেকআপের কথা ভুলে যান। সকালে মুখ ধুয়ে প্রথমে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এরপর সানস্ক্রিন। এর ওপর কমপ্যাক্ট পাউডারের প্রলেপ বুলিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সাজের বেইজ। চোখের সাজে বেছে নিন ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই ক্রিমি আইশ্যাডো। আইলাইনার বা মাশকারাও চলতে পারে। এই রোদ এই বৃষ্টিতে অবশ্যই সাজ সরঞ্জাম হওয়া চাই ওয়াটারপ্রুফ। গালে ক্রিম ব্লাশন সহজেই লুকে স্নিগ্ধ লুক ফুটে উঠবে। সবশেষে ওয়াটারপ্রুফ সেটিং স্প্রে করে মেকআপ সেট করে নিন। ব্যস, সাজ শেষ। এই সাজেই সারা দিন অনায়াসে কেটে যাবে। এবার আরামদায়ক পোশাক পরে উৎসবের দিনটা শুরু করুন। গরমে চুল বেঁধে নেওয়াটাই সবচেয়ে স্বস্তির। পরিপাটি করে আঁচড়ে পেছনে বাঁধতে পারেন পনিটেইল, বেণী বা বেণী খোঁপা। বিকেলে মন্ডপে যাওয়ার সময় ত্বকে একটু পাউডার বুলিয়ে নিলেই হবে। হাতে একটু সময় থাকলে চুলটা কার্ল করে নতুন পোশাক পরলে দেখবেন লুক এমনিতেই বদলে যাবে। সন্ধ্যার পর সাজে শাইনি লুক চাইলে শিমার পাউডার বুলিয়ে নিন টি জোনে। পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা বাছুন।

নবমী

নবমীতে একটু রঙিন প্রাইমার, বিবি ক্রিম আর ফাউন্ডেশন দিয়ে বেইজ করুন। মুখের টি জোন হাইলাইট করতে কনট্যুরিং করতে পারেন। প্রথমে ডার্ক কনসিলার দিয়ে তারপর হাইলাইটার দিয়ে টি জোনকে ফুটিয়ে তুলুন। এবার গালে হালকা রঙের ব্লাশন দিন। মহামারীর কারণে এবার ঠোঁটের সাজের চেয়ে চোখেই মনোযোগ থাকবে সবার। তাই এই সময় চোখের সাজে আনতে পারেন হালকা স্মোকি ভাব। পোশাক থেকে যেকোনো একটা রং ঠিক করুন। সেই রঙের শ্যাডো দিন। এরপর হালকা ছাই রঙের শ্যাডো দিয়ে চোখের কোণে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। চোখের ওপরের পাতায় লাইনার না দিয়ে চোখের নিচে বাদামি শ্যাডো দিয়ে ব্লেন্ড করে দিলে ভালো দেখাবে। মাস্কের নিচে লিপস্টিক অবশ্যই ম্যাট হওয়া চাই। ত্বকের সঙ্গে মানানসই ন্যুড লিপস্টিক লাগান। চুলের সাজে কার্লি চুলের ট্রেন্ড এবারও রাজত্ব করবে। খোঁপা, বেণী বা ছাড়া চুলের সাজ যাই হোক আগে কার্ল করে নিন। সাজে বৈচিত্র্য আনতে নকশাদার খোঁপার কাটা বা ক্লিপ ব্যবহার করতে পারেন। আর্টিফিশিয়াল ফুলের ক্লিপও দারুণ মানাবে। বিশ্বজুড়ে এখন রুপালি গহনার ক্রেজ। আপনিই বা বাদ যাবেন কেন। দিনে ছিমছাম আর বিকেলের পর থেকে একটু ভারী গহনা বাছুন।

দশমী

বিসর্জনের সাজ বিজয়ার সাজে হবে একই সঙ্গে স্নিগ্ধ ও জমকালো। এদিনের সাজে ঐতিহ্যবাহী লুকটাই বেশি মানায়। সাদা লাল শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চোখে গাঢ় রঙের শ্যাডো লাগিয়ে নিন। চোখের নিচে টেনে কাজল দিন। চোখের ওপরের পাতায় আইলাইনার দিয়ে মোটা করে লাইন টেনে নিন। দুই বার করে মাশকারা লাগান। ঠোঁট এঁকে পছন্দের লিপস্টিক লাগান। মানানসই নকশাদার টিপ আর সঙ্গে হাত ভরে কাচের চুড়ি। পূজা দেখার সময় অনেক হাঁটতে হয় তাই আরামদায়ক স্যান্ডেল পরুন। দশমীতে খোঁপায় তাজা ফুল দিতে ভুলবেন না।

বি এন-২