সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১৭, ২০২৫
০৩:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ১৭, ২০২৫
০৩:৩৪ অপরাহ্ন
শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার দ্রুত রায়, নজির হিসেবে দেখছেন আইনজীবীরা
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বিচার কাজ শুরুর ২১ দিনের মাথায় রায় দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশের ইতিহাসে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সংক্ষিপ্ত সময়ে রায়ের অন্যতম নজির বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি তিন আসামিকে খালাস পেয়েছেন।
শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মাত্র ১৪ কার্যদিবসে রায় ঘোষণা হলো। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় খুশি মাগুরাবাসী।
রায়ের তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এ মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি তিন আসামি খালাস পেয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সংক্ষিপ্ত সময়ে রায়ের অন্যতম নজির।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে মোংলায় সাত বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ গঠনের সাত কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত ১৩ এপ্রিল মাগুরার এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শনিবার এ মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে।
তবে মাগুরা লিগ্যাল এইড নিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ বলেন, চাঞ্চল্যকর আছিয়া হত্যা মামলার রায় আজ ঘোষণা হয়েছে। আমি মাগুরা লিগ্যাল এইড থেকে নিয়োজিত আইনজীবী। আসামি পক্ষের আইনে লড়াই করেছি। রায়ে ১নং আসামি হিটু শেখের ফাঁসি ও অন্যান্য ৩ জন আসামির খালাস পেয়েছেন। যেহেতু ৩ জন আসামি খালাস পেয়েছেন এজন্য আমি সন্তুষ্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ যদি উচ্চ আদালতে যেতে চায় আমি সহযোগিতা করব। আমি আদালতের এ রায়ের ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি না।
প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী শিশুটি। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর মাগুরাসহ সারাদেশের মানুষ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
জিসি / ০৪