সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার
অক্টোবর ২০, ২০২০
০১:১৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২০, ২০২০
০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এ বছর করোনার কারণে সীমিত করা হয়েছে। ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে মৌলভীবাজারে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। মন্ডপে মন্ডপে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। প্রতিমা তৈরি শেষে এখন চলছে রঙ-তুলির আঁচড়।
আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হয়ে ২৬ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা। মৌলভীবাজার জেলায় এবার ৯৬৯টি পূজামন্ডপে পূজা হবে। এর মধ্যে সার্বজনীন পূজামন্ডপ ৮৪২টি এবং ব্যক্তিগত ১২৭টি। করোনাভাইরাসের কারণে এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হবে। এ সম্পর্কিত ২৬টি নির্দেশনা রয়েছে। তাই আয়োজকরা পূজার আয়োজন সীমিত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু।
করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে দুর্গাপূজা হবে সে অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়েই মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পূজামন্ডপে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। কাদামাটি, বাঁশ, খড়, সুতা দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমার কারিগররা। প্রতিবছর যেখানে বড় বড় প্রতিমা তৈরি হতো, সেখানে এবার করোনার কারণে ছোট ছোট প্রতিমা তৈরি হয়েছে। প্রতিমার কাজ কমে যাওয়াতে বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা।
মৌলভীবাজার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পার্থ সারর্থী পাল বলেন, 'মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা বানিয়ে তাদের সংসার চালান। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার দুর্গাপূজায় তাদের অবস্থা নাজুক। প্রধানমন্ত্রী মৃৎশিল্পীদের প্রতি সুদৃষ্টি দিলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।'
সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু বলেন, 'বিগত বছরে প্রায় ১ হাজারের মতো মন্ডপে পূজা হয়েছে। কিন্তু এবার তা কমিয়ে আনা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরভাবে পূজা পালন করতে গিয়ে মন্ডপের সংখ্যা কমানো হয়েছে।'
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ জানান, দুর্গোৎসব যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। তাই পূজাকে সামনে রেখে পুরো জেলাজুড়ে এখন থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এসএইচ/আরআর-০৯