ধর্মপাশায় তিনটি জলাশয় উন্মুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


অক্টোবর ২২, ২০২০
০৮:২৭ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০২০
০৮:২৭ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় তিনটি জলাশয় উন্মুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুড়ী গ্রাম সংলগ্ন সরকারি কাকিয়ার দাইড়, ঘোড়া মারার দাইড় ও হাজারিয়ার দাইড় নামক তিনটি জলাশয় খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা না দিয়ে এলাকার কৃষকদের স্বার্থে আজীবন উন্মুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বালিজুড়ী গ্রামের দক্ষিণপাশে টগার হাওরপাড়ে বালিজুড়ী গ্রামবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বালিজুড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সাগঠনিক সম্পাদক মো. সিরাজুল হক, সাধারণ কৃষক আজিজুল হক, মো. দুলা মিয়া, আব্দুল হেলিম মিয়া, মো. ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আমাদের বালিজুড়ী গ্রামের উত্তরপাশে টগার হাওর ও দক্ষিণ পাশে শৈলচাপড়া হাওর দু'টি রয়েছে। এ দু'টি হাওরে বালিজুড়ী ও আশেপাশের গ্রামের কৃষকের প্রায় ৪ হাজার একর বোরো জমি রয়েছে। দীর্ঘ অনেকবছর ধরে বোরো মৌসুমে কাকিয়ার দাইড়, ঘোড়া মারার দাইড় ও হাজারিয়ার দাইড়ের (জলাশয়) পানি দিয়ে ওই দু'টি হাওরের বোরো জমিতে সেচ কার্যক্রম চলে আসছে।

বক্তারা অভিযোগ করেন, এই তিনটি জলাশয় অতীতে কখনও খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল ১৪২১ বঙ্গাব্দের জন্য এই তিনটি জলাশয় খাস কালেকশনে নেওয়ার জন্য সার্বিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। তৎকালীন সময়ে বালিজুড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. নূরুজ্জামান এ নিয়ে ইউএনও'র মাধ্যমে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করেন। পরে ভূমি বিধি মোকাদ্দমা নং- ২/২০১৪-১৫ (ধর্মপাশা), তারিখ- ১৯.১১.২০১৪ ইংরেজি মূলে ১৪২১ বাংলা সনের জন্য এই তিনটি জলাশয় খাস কালেকশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পর থেকে সরকারিভাবে খাস কালেকশনের জন্য এটির ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি আমরা শুনতে পাচ্ছি, এই তিনটি জলাশয় খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা নেওয়ার জন্য আবারও স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল নানাভাবে পাঁয়তারা করে আসছে।

উল্লেখ্য, এর আগে এই তিনটি জলাশয় খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা না দেওয়ার জন্যে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে আবেদন করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, 'এই তিনটি সরকারি জলাশয় খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়েছে কি না সেটি ফাইলপত্র না দেখে বলা সম্ভব নয়। ইজারা দেওয়া হয়ে থাকলে এখন এ নিয়ে আর কিছুই করার নেই। পানির অভাবে বোরো জমিতে সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে অবশ্যই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া জনস্বার্থে আগামী বছর এ নিয়ে কী করা যায় সেই বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।'

 

এসএ/আরআর-১৩