তাহিরপুর সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান

তাহিরপুর প্রতিনিধি


অক্টোবর ২২, ২০২০
০৮:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০২০
০৮:৫১ অপরাহ্ন



তাহিরপুর সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তে বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আহত শিশুর মৃত্যু হওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছিল, তা স্থানীয়ভাবে বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে শাহিদাবাদ বর্ডার হাট সংলগ্ন শাহ্ আরেফিন মোকাম প্রাঙ্গণে এ বৈঠকে উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি'র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বৈঠকে নিঃশর্ত সমাধান আসে।

বৈঠকে ভবিষ্যতে যেন সীমান্ত এলাকায় এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত না ঘটে সেজন্য উভয়পক্ষকে আরও অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলা হয়। এদিকে আহত শিশু সুমনকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং সে শঙ্কামুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ, বাদাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, 

সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মো. মেসবাহ্ উদ্দিন রাসেল, সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান, তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার, লাউড়েরগড় সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলম সাব্বির, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়াসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তের শাহিদাবাদ বর্ডার হাট সংলগ্ন এলাকায় বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সূত্রপাত হয় আহত শিশু বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের মুকসেদপুর (উত্তর) গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সুমনকে (৮) নিয়ে। আহত শিশু সুমন জ্ঞান হারিয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিক বিজিবির আঘাতে সে মারা গেছে বলে গুজব ছড়ালে উত্তেজিত এলাকাবাসী মিছিল করতে থাকেন এবং বিজিবি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিজিবির গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এমন সময় টহলরত সিপাহী আরজু এগিয়ে এলে উত্তেজিত জনতা তাকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরে টহলরত বিজিবি'র অন্যান্য সদস্যরাও এগিয়ে আসেন। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে এবং বিজিবিকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক এসএমজি'র ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেন।

 

এএইচ/আরআর-১৫